পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুমি সাম্যতত্ত্ব নিয়ে আমাকে খোটা দিয়েচ । আমি সাম্যনীতির চূড়ান্তে উঠেচি এমন অহঙ্কার কখনো করি নে, কিন্তু তাই বলেই যতটা পারি তাও ত্যাগ করতে হবে একে স্বযুক্তি বলে না । আমি মানুষটা স্বল্লাশী, জানি ভূরিভোজন মনের শক্তি হ্রাস করে ; জনরব এই যে কোনো একজন পওহারী বাবা না খেয়ে সাধনা করেন । তুমি যদি বলে, আপনি যখন পবন আহার করে থাকতে পারেন না তখন স্বল্পাহারের বড়াই করেন কেন— এমন খোচা চুপ করে স্বীকার করে নিলেও অগৌরব হবে না । সজনীকান্তের পরিবারের সঙ্গে তোমাদের সখ্য হয়েছে বলে তুমি যখন আমার অপ্রীতি কল্পনা করেছিলে তখন বলেছিলেম, আমার মনের এমন বিকার যদি হোত তাহলে লজ্জিত হতুম | আমি কখনো বলিনে যে বিন! কারণে বিনা আমন্ত্রণে অতিশয় ঔদার্য্যের গরিমা দেখাবার জন্তে তার বাড়িতে হঠাৎ গিয়ে পড়বার জন্তে আমার ব্যগ্রতা আছে। যদি শ্রদ্ধার সঙ্গে সে আমাকে নিমন্ত্রণ করত তবে নিশ্চয় যে তুম— না করলেও অকস্মাৎ তার ওখানে না যাওয়াকে যদি তুমি আমার তুৰ্ব্বলতা বল তবে নিঃসন্দেহ স্বীকার করব সে তুৰ্ব্বলতা আমার অাছে, কিন্তু তোমাদের সঙ্গে তাদের সম্প্রীতি ঘটেচে বলে তোমাদের প্রতি বিমুখ হব সে দুর্বলতা আমার নেই। পূৰ্ব্বট আছে বলেই এটাও আমার থাকা উচিত ছিল এই যদি তোমার মত হয় তাহলে তোমার সঙ্গে আমার মতের মিল হবে না এর বেশি আর কি বলব । কিন্তু এর চেয়ে আরো আশ্চর্য্যের কথা তোমার চিঠিতে S & 8