পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y e ol [ শাস্তিনিকেতন ] ৫ ডিসেম্বর ১৯৩২ \હૈં কল্যাণীয়াসু সেই কমলা লেকচার লিখতে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকতে হয়েচে । মানবের ধৰ্ম্ম বিষয়টা নিয়ে অক্সফোর্ডে বক্তৃতা দিয়েছিলুম, সেটা বই আকারে বেরিয়েচে । বাংলাভাষায় বক্তব্যটা সহজ করে তোলা সহজ নয়, চেষ্টা করতে হচ্চে খুব বেশি করে । অন্য কিছুতে মন বিক্ষিপ্ত করতে সাহস হচ্চে না । অথচ ইতিমধ্যে অনেক রকম অভ্যাঘাত ঘটেচে । এই শীতের সময় এখানে নানা দেশের নানা অতিথি সমাগম হয় । কয়েকজন জাপানী এসেছিলেন র্তারা সারনাথে বুদ্ধমন্দির চিত্রালস্কৃত করতে চলেছিলেন । মালব্যজি এসেছিলেন তাকে নিয়ে দুদিন কাটল । তা ছাড়া এখানকার কৰ্ম্মের ধারা আছে । কলকাতার কাজে আমাকে যেতে হবে আগামী দশই ডিসেম্বরে। প্রফুল্লজয়ন্তীর সভানেতৃত্ব অনেক চেষ্টাতেও এড়াতে পারলুম না। তার তারিখ এগারই। বারোই তারিখে স্বদেশী ভাণ্ডারের আরম্ভ কৰ্ম্ম। সেইদিনই অপরাহুে জাপানীদের এক সভায় আমার আমন্ত্রণ। তার পরে কবে বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা এখনো নিশ্চিত জানি নে। এটা কমলা লেকচার নয়। আমার প্রোফেসারি পদের প্রথম অভিভাষণ । তার পরে আরো বক্ততা পর্য্যায় ক্রমে চালাতে হবে । মনে করতে পীড়া বোধ হয়, ছুটির জন্যে প্রাণ হাপিয়ে ওঠে । অথচ এ কথাও সত্য যে নিতান্ত দায়ে না পড়লে আমার কুঁড়েমির তাল৷ ভাঙে না } >おb