পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\o ১৭ এপ্রিল ১৯৩১ শান্তিনিকেতন ဖ္ရင္ငံ কল্যাণীয়াসু প্রথমেই বলে রাখি আমার সব কথা বলবার অধিকার নেই। যেখানে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার অভাব সেখানে যুক্তিদ্বারা তর্ক করে বোঝা ছাড়া উপায় নেই। তোমার চিঠি পড়ে বুঝতে পারি তুমি একটা অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে গেছ সেটাকে আমার বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে যখন চেষ্টা করি তখন মনে সংশয় থেকে যায়। তবুও আমার দিক থেকে যেটা বলবার আছে সেটা বলা চাই । বাংলা দেশে আমরা শাক্ত কিম্বা বৈষ্ণব ধৰ্ম্মে মুখ্যত রস সম্ভোগ করতে চাই । হৃদয়াবেগের মধ্যে তলিয়ে যাওয়াকেই সাধনার সার্থকতা মনে করি । এ’কে আধ্যাত্মিক বিলাস বলা যেতে পারে। সব রকম বিলাসের মধ্যেই বিকারের সম্ভাবনা আছে । গ্রামে যখন বাস করতুম একজন বৈষ্ণব সাধকের সঙ্গে আমার প্রায় আলাপ হোত । আমি তাকে একদিন বল্লুম ব্রাহ্মণপাড়ায় দুনীতি দুৰ্গতি ও দুঃখের অন্ত নেই। আপনি কেন তাদের মাঝখানে থেকে উদ্ধার করবার চেষ্টা করেন না । শুনে তিনি বিস্মিত হয়ে গেলেন— এ সব লোকদের সহবাস দূরে পরিহার করাই তিনি সাধনার পস্থা বলে জানেন, এতে রস ভোগ চর্চায় ব্যাঘাত করে। দেবতা যদি নিতান্তই و بنا