পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y } \S [ দাৰ্জিলিং ] ১৯ জুন ১৯৩৩ હૈં কল্যাণীয়াসু যাত্রা পিছিয়ে গেল । আপাতত আগামী শুক্রবারে কলকাতায় রওনা হবার কথা চলচে— অর্থাৎ গাড়ি প্রভৃতির জোগাড় হলে শনিবারে জোড়ার্সাকোয় আমার আবির্ভাব হবে । অনিন্দিতা দেবী পুরুষবিদ্বেষী। তিনি যত কিছু প্রবন্ধ লিখেচেন তাতে পুরুষের বিরুদ্ধে অন্তহীন নালিশ দেখতে পাই । তাই তিনি যত দোষ চাপিয়েছেন শশাঙ্কের স্বন্ধে। দোষ প্রকৃতি মায়াবিনীর— মানুষের চলবার পথে তিনি চোরা ফাদ পেতে রাখেন— বিশ্বস্ত চিত্তে চলতে চলতে হঠাৎ সে পড়ে যায় গৰ্ত্তে । শশাঙ্কের সংসারযাত্রার রাস্তাটা পাকা রাস্তা ছিল না, হতভাগা একদিন ঘাড়মোড় ভেঙে পড়বার পূৰ্ব্বে সে কথাটা সকলেরই অগোচর ছিল— দিন চলছিল ভালোই কিন্তু তলায় ছিল ফাকা। নিশ্চিন্ত মনে হাসতে হাসতে এক মুহুর্তে হাসি গেল থেমে । শশাঙ্কে শৰ্ম্মিলায় জোড় মেলে নি – হঠাৎ একদিন বাইরে থেকে চাড় লাগবার আগে সে কথা কি সবাই জানতে পায়— যখন জানা গেছে তখন তো কপাল ভেঙেচে । নীতিবিদরা বলবে, ফাট কপালে ব্যাণ্ডেজ বেঁধে ভালোমানুষের মতো আবার সাবেক রাস্তায় উচোট খেতে খেতে লাঠি ধরে খুড়িয়ে চলা কৰ্ত্তব্য । তাই সে চলত। কিন্তু শৰ্ম্মিল। বললে তেমন চলায় কোনো পক্ষেই সুখ নেই। সে তাই কোনো ૨ ૦૨