পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়ে গেছে, শুক্লপক্ষে রৌদ্র প্রখর হয়ে উঠল— অতএব এখন দ্বীপান্তর শ্রেয়, চললুম সিংহলে— তোমরা গৌরীপুরে পল্লিলক্ষ্মীর স্নিগ্ধ হস্তের শুশ্রুষা ভোগ করোগে । ৪ বৈশাখ ১৩৪১ দাদা এইখানে আর একটা কথা বলে নিই। বঙ্গশ্রীতে তুমি আমার লেখা দেখে বিস্মিত হয়েছ । ওর কারণটা এই, এখন অন্নাভাব । লেখা বিক্রয় করা ছাড়া জীবিকার অন্য সাধু উপায় জানি নে । শ্রত ছিলেম যে উদয়ন ও বঙ্গ শ্ৰী কাগজের মালেকরা ধনশালী, লেখার মূল্য দাবী করলে সেটা ব্যর্থ হয় না। তাই সজনীকে লেখা হয়েছিল ১০০ টাকার পরিবর্তে আমার একটা প্রবন্ধ যদি ইচ্ছা করে তবে পেতে পারে। উদয়ন অনুরূপ প্রস্তাবে দ্বিধামাত্র করে নি । সজনীর সঙ্গে যখন দেখা হোলো তখন সে বললে কৰ্ত্তারা আশা করেছিলেন, তু তিন সংখ্যার মতো খোরাক র্তারা পাবেন— অতএব অন্তত জ্যৈষ্ঠ সংখ্যার জন্যে আর একটা কিছু দিলে মনিব অর্থহানির জন্ত্যে সান্তনা পেতে পারেন। হায়রে রবীন্দ্রনাথ— বাজারে কোন দরে তোমার মূল্য যাচাই হচ্চে সেটা জেনে দৰ্পহারী মধুসূদনকে সাষ্টাঙ্গে প্ৰণিপাত করে “আমার বঙ্গভূমি” থেকে এবার বিদায় গ্রহণ করে । এ নিয়ে তকরার করলে মৰ্য্যাদাহানি হয়, বললুম জ্যৈষ্ঠের জন্যে একটা কবিতা লিখে দেব । ঐখানেই শেষ। উদয়ন উৎসাহিত হয়ে আছে এক সংখ্যার প্রবন্ধর জন্তে একশো টাকাটাকে অপব্যয় বলে গণ্য করে নি। রবীন্দ্রনাথের তিরোভাবের পরে তার স্মরণ ૨ 8 છે