পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিয়ো । যদি বলে কোনো লেখাই না লিখে নীরবে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকাই আমার পক্ষে শ্রেয়, সেটা আমি স্বীকার করে নেব । কিন্তু এই পরামর্শ আরো ৫০/৬০ বৎসর পূৰ্ব্বে পেলেই সুখের হোতে— এখন অনেক বিলম্ব হয়ে গেছে। যদি বলে কেবলমাত্র সেই লেখাই যেন লিখি যাতে কোনো মানুষের সঙ্গে মতের ভেদ না হয়, তবে সেই কোনো মানুষরা কারা জানতে চাই। এমন মানুষেরও সন্ধান মেলে যারা আমার মতকে শ্রদ্ধা করে । তুমি কি বলবে কেবল তাদেরই সঙ্গে যেন আমার ঝগড়া বাধে এদের সঙ্গে নয় ? তোমাকে আমার এই অনুরোধ, দ্বিজু রায় কাব্যবিশারদ থেকে তারম্ভ করে আধুনিক সজনীকান্ত ও রমা প্রসাদ চন্দ পর্যন্ত কাব সঙ্গে ঝগড়া করে আমি একটা লাইনও লিখেচি, সেটা আবিষ্কার করে আমাকে দেখিয়ে দিয়ে, তাহলে স্বভাব সংশোধন করবার চেষ্টা করব । একতরফা গাল খাওয়াকে যদি ঝগড়াটের লক্ষণ বলো তাহলে সে সম্বন্ধে আমার কৰ্ত্তব্য কী, আরো একটু স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়ে । তুমি লিখেছ অল্প যে কটা দিন আমার মেয়াদ অাছে বিবাদে যেন প্রবৃত্ত না হই । এ অনুরোধ রাখা কঠিন হবে না। প্রায় বছর পঞ্চাশেক যা না করেছি আরো তু চার বছর তা না করে থাকতে পারব । তোমারই প্রশ্নের উত্তরে একদা আমাদের দেশাচার প্রভৃতি সম্বন্ধে আলোচনা করেছিলুম। তোমার সঙ্গে ঝগড়া করচি বলে সন্দেহ করি নি। সম্প্রতি তাও ছেড়ে দিয়েছি । আমার মতো লেখকের পক্ষে সম্পূর্ণ মোনব্ৰতই যদি একমাত্র সাধুপথ হয় তবে সে পথ আসন্ন হয়েছে জেনে নিশ্চিন্ত হতে &も〉