পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

סיף ג' З 8 Сх У ж з Фі \ෂි চন্দননগর কল্যাণীয়াসু আমাদের পদ্মা বোটে আশ্রয় নিয়েছি। এই বোটেই যৌবনকালে লিখেছি সোনার তরীর কবিতা— কতকাল বাস করেছি পদ্মার চরে সম্পূর্ণ একলা। এমন হয়েছে মাসের পর মাস একটি শব্দও উচ্চারণ করি নি, নিঃশব্দ বাক্য বিস্তার করেছি লেখায় । ছোট গল্পের অধিকাংশই এই বোটে লেখা । তারও আগেকার দিনে যখন আমার বয়স ছিল আঠারো, এই চন্দননগরে গঙ্গার ধারে দীর্ঘকাল কেটেছে । ঐ সামনে দেখা যাচ্চে দোতলা বাড়ি, ঐখানে ছিলেম জ্যোতিদাদার সঙ্গে । মনে পড়চে কোন এক বাদলের দিনে ঘন মেঘে ছায়াচ্ছন্ন নদী, নিবিড় বৃষ্টিধারায় দিগন্ত অবগুষ্ঠিত, দীর্ঘ অপরাহ্লের কৰ্ম্মহীন প্রহরে অকারণ বেদনায় মন বিরহাতুর, তখন একলা বসে বিদ্যাপতির গানটিকে স্বরে বসিয়েছি— এ ভরা বাদর, মাহ ভাদর শূন্য মন্দির মোর। জানি নে আমার দেওয়া সুরে এ গান কখনো শুনেছ কিনা । অনেকেই জানে। আমার নিজের বিশ্বাস সুরটা ভালো হয়েছে। অাজ ঐ বাড়িটা অনাদরে জীর্ণ হয়ে পড়েছে নইলে ঐখানেই থাকতুম | আমার মনে হয় তুমি যদি গৌরীপুরে গিয়ে থাক তোমার షి సెb