পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রত্যহ সহস্র প্রমাণ সত্ত্বেও । এই গণমহারাজবর্গের মধ্যেই তোমরাও আছ, আমরাও আছি, তারাও আছে– পাপপুণ্যের গতায়াত এর সর্বত্রই ;– বিশেষ অভ্যস্ত আচারের কৃত্রিম সিলমোহরের ছাপ মেরে কলুষের গায়েও জাতের তিলক কেটে দিয়ে না। মানবলোকে যদি তার স্পর্শ বাচিয়ে নিৰ্ম্মল থাকতে চাও তাহলে ঘরে বাইরে কোথাও পা ফেলতে পাবে না । নিজেকে ঘরগড়া নিয়মে একান্ত সাবধানে শুচি রাখবার সাধনা না করে যথাসাধ্য সকলকে ক্ষমা করবার করুণা করবার অাপন করবার সাধনা কোরে । আমাদের দেশে পাপকে তেমন নিন্দা করে নি যেমন নিন্দ করেছে কৃত্রিম আচারের ক্রটিকে । বিধাতা এই অপরাধকে ক্ষমা করেন নি— বহু শতাব্দী ধরে মার খেয়ে আসচি এই দোষে, মরব এরই হাতে । একটা ভুল ধারণা তোমার চিঠি থেকে বুঝলুম। নব্যার আমাকে উপেক্ষা করে কি না নিশ্চিত জানি নে । আসল কথা, কেউ বা করে, কেউ বা করেও না, তার বেশি আশা করা যায় না । এ প্রসঙ্গে প্রাচীনাদের এবং প্রাচীনদেরও কথা না তোলাই ভালো। কবিধৰ্ম্মের অনুবত্তী অামি নব্যাদের উপেক্ষা করি নে। যদি প্রাচীনকালে জন্মে থাকি তবে নিঃসন্দেহ তখনকার নব্যাদের প্রতিও আমার হৃদয় সকরুণ ছিল, প্রপৌত্রদের যুগে যদি জন্মাই তবে তখনো থাকবে । আমি যখন নবীন ছিলুম, বাংলাদেশের নব্যারা তখন ছিলেন অদৃশ্য। যদি এত বেশি দৃশ্যমান থাকতেন তাহলে আমার তখনকার ইতিবৃত্তান্তে ভাগ্যলিপি কোন রঙের কালীতে কোন রসের লিখন প্রকাশ করত জানি নে। এখন