পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীমানা থেকেই আজ তোমাকে আশীৰ্বাদ জানিয়ে গেলুম— এর পরে সেদিন যে-কোনো ভাষায় ইচ্ছা তুমি উত্তর দিয়ো, আমার আরং প্রয়োজন হবে না । এই প্রসঙ্গে একটা কথা মনে পড়ছে, বিনা ভাষায় নীরব চোখ মুখের আলাপ থেকে যারা প্রলাপ মথিত ক’রে তুলতে পারে, তারা নাচন নয়, তারা নাচনীর দল, তারই একটির জন্তে আবেদন জানিয়ে রাখলুম তোমার মায়ের দরবারে । হায় রে, বারবার ভুলে যাই– নাচনী আসবে, কিন্তু ( একটা দীর্ঘনিশ্বাস ) — ইতি ২০১০৩৮ সপ্তকপারবর্তী কবি [ মন্তব্য ] আপন সম্বলের প্রতি যে শিশু-ভোলানাথের কোনে আসক্তি নেই, আনন্দমত্ত প্রলয়লীলায় যিনি তার প্রতি মুহুর্তের নৈবেদ্য প্রতি মুহুর্তেই সগর্জনে ধূলিসাৎ করে দেন তার সেই বিলুপ্তিভাঙের সদ্য ভাঙন নেশার প্রতি ভরসা রেখে সেই অবুঝ দেবতার অবোধ্য ভাষা সম্বন্ধে গোপনে একখানি পত্র লিখেছিলেম। শনিগ্রহের চক্রান্তে পত্ৰখানি ধূলির ঠিকানা এড়িয়ে পড়েছে সম্পাদকের ঝুলির ঠিকানায় । মনে আছে সংস্কৃত ভাষার একটি শ্লোকে পড়েছিলুম— চোখে যে কাজল ভূষণ, সেই কাজলই দূষণ মুখের উপরে। আমার কাজল ঠিকানাভ্ৰষ্ট হয়েছে 8 & 8