পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন ভোলাতে পারব না— এই কারণেই লোকের আহুকুল্য এতই দুর্লভ হয়েচে এবং এই কারণেই আমার পথ এত বাধাসস্কুল। একদিকে পণ্ডিত বিধুশেখর শাস্ত্রী থেকে আরম্ভ ক’রে স্বরুলের দরিদ্র চাষী পৰ্য্যস্ত সকলেরই জন্যে আমাদের সাধনক্ষেত্রে স্থান ক’রে দিতে হয়েছে— সকলেই যদি আপনাকে প্রকাশ করতে পায় তবেই এই আশ্রমের প্রকাশ সম্পূর্ণ হতে পারবে— তিব্বতী লামা এবং নাচের শিক্ষক, কাউকে বাদ দিতে পারলুম না । মনে কোরো না যে, তোমার সাধনপ্রণালী ও সাধনফলের প্রতি আমার কিছুমাত্র সংশয় আছে । তোমার প্রকৃতি নিজের পথ যদি খুজে পেয়ে থাকে তবে আমার পন্থা তার প্রতিবাদ করবে এমন স্পৰ্দ্ধা তার নেই। সত্যকে তুমি যে-ভাবে যে-রসে পাচ্চ আমার প্রকৃতিতে যদি তা সম্ভব না হয় তবে সেজন্য পরিতাপ করা মুঢ়তা । ফলের গাছ তার রসের সার্থকতা প্রকাশ করে আপন ফলে, ইক্ষু করে আপন দণ্ডের মধ্যে, কেউ কারও প্রতিযোগী নয়,— বৃহৎ ক্ষেত্রে এক জায়গায় উভয়েই মিলে যায় । ইতি ১১ মার্চ ১৯৩১ —সাধনার রূপ । প্রবাসী, ভাদ্র ১৩৩৮ ‘আমার এই চঞ্চলত যদি না থাকৃত তবে কোনদিন হয় তো হাল আমলের একজন অবতার হয়ে উঠে ভক্তব্য হের মধ্যে বন্দী হয়ে পড়তুম’ –বর্তমান পত্রের এই উক্তির অপ্রত্যাশিত কদৰ্থ কেহ কেহ করিয়াছিলেন মনে হয়, তাহারই অগভাস পাওয়া যায় এবং খণ্ডন দেখা যায় ঐদিলীপকুমার রায়ের ‘তীর্থঙ্কর’ গ্রন্থে সংকলিত রবীন্দ্রনাথের একখানি চিঠিতে— ...তোমার লিপির প্রথম ছত্র পড়েই চমকে উঠেছিলুম। . শেষে প্রবাসীতে আমার “পত্রধারা” পড়ে বুঝলুম কোন লেখা থেকে তুমি আমার অপরাধ নিয়েছ।৩. তুমি জানো শ্ৰীঅরবিন্দকে আমি অকৃত্রিম 8>ly