পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হৃদ মনীষা মনসাভিক্৯প্তে য এতদ্বিত্রমৃতাস্তে ভবস্তি । যে দেবতা সকল জনানাং হৃদয়ে, র্যার কৰ্ম্ম আচারবিচারের নিরর্থক ক্রিয়াকৰ্ম্ম নয় সকল বিশ্বের কৰ্ম্ম, সকল আত্মার মধ্যে যে মহাত্মাকে উপলব্ধি করতে হয় তিনিই উপনিষদের দেবতা, র্তাকেই দেউলের মধ্যে সরিয়ে রেখেছে যাকে বলি পুরাতন । ভারত— আর সোনার শিকলে বাধতে চেয়েচে স্বর্ণলঙ্কাপুরীর যুরোপ । এই উভয়ে পরস্পরের সতীন বলেই এদের পরস্পরের প্রতি এত বিরাগ । মানুষের আত্মায় যিনি মহাত্মা, মানুষের কৰ্ম্মে যিনি বিশ্বকৰ্ম্ম, আমি জেনে না জেনে সেই দেবতাকেই মেনেচি— তিনি যেখানে উপবাসী পীড়িত সেখান থেকে আমার ঠাকুরের ভোগ অন্য কোথাও নিয়ে যেতে পারিনে। খৃষ্ট বলেচেন, বিবস্ত্রকে যে কাপড় পরায় সেই আমাকেই কাপড় পরায়, নিরম্নকে যে অন্ন দেয় সে আমাকেই অন্ন দেয় –এই কথাটাই ব্ৰহ্মভাষ্য। এই কথাটাকেই “দরিদ্রনারায়ণ” নাম দিয়ে হালে আমরা বানিয়েছি— দরিদ্রের মধ্যে নারায়ণকে উপলব্ধি ও সেবা করার কথাটা ভারতের জালস্বাক্ষর করা— আমাদের উপলব্ধি প্রধানত গো-ব্রাহ্মণের মধ্যে। কিন্তু যথার্থ পুরাতন ভারত, যে-ভারত চিরনূতন— যে ভারতের বাণী, আত্মবৎ সৰ্ব্বভূতেষু য: পশ্যতি স পশ্যতি— তাকেই আমি চিরদিন ভক্তি করেছি। অামার সব লেখা যদি ভালো করে পড়তে তাহলে বুঝতে আমার চিত্ত মহাভারতের অধিবাসী— এই মহা-ভারতের ভৌগোলিক সীমানা কোথাও নেই । 8 *