পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজের মধ্যেই এসে অবসান হোত তাহলে চুকে যেত। ওকে যে আবার কোনো একটা আকারে ফিরিয়ে দিতে হয়, পূজায়, সেবায় । কিন্তু ঠিকানা ভুল হলে আপ শোষের কথা । আনন্দ যখন পাই তখন সেটা কোথা থেকে পাই স্পষ্ট নাই বা জানলুম, পেলেই হোলো । কিন্তু সেবা যখন দিই তখন কোথায় গেল না জানলে লোকসান। পোষ্ট বাক্সে চিঠি ফেলে দিলুম সেটা যথাস্থানে গিয়ে পৌছল এটা কি সেই রকম ব্যাপার ? ঠাকুরকে কাপড় পরালুম, সে কাপড় কি পৌছবে বস্ত্রহীনের কাছে, ঠাকুরকে স্নান করাল্ম সেই স্বানের জল কি পৌছবে যে-মানুষ জলের অভাবে তৃষিত তাপিত ? তা যদি না হোল তাহলে এ সেবা কোন কাজে লাগল ? কেবল নিজেকে ভোলাবার কাজে ? নিজের ছেলেকে যখন কাপড় পরাই তখন তার মধ্যে তুটো কথা থাকে, এক হচ্চে, সে কাপড় যথার্থ ই ছেলের প্রয়োজনের কাপড়, দুই হচ্চে ছেলের প্রতি আমার স্নেহ সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করে নিজেকে সার্থক করে । খেলার সামগ্রীকে যখন কাপড় পরাই তখন কেবলমাত্র আমার তৃপ্তিই হোলো, বাকিটুকু ব্যর্থ। তুমি লিখেচ ঠাকুরের সেবা এবং জীবের সেবা দুইই আমাদের পূজার অঙ্গ কিন্তু দুৰ্ম্মতিবশত, যে-সেবাট জগতের তুঃখনিবারণের জন্য সত্যকার কাজে লাগে বৰ্ত্তমান কালে সেইটেকে আমরা উপেক্ষা করেছি। ভালো করে ভেবে দেখো কালক্রমে এ মোহ এলো কেন ? তার কারণ, এই বিশ্বাস মনে আছে যে ঠাকুরকে অন্ন দিয়ে বস্ত্র দিয়ে একটা সত্যকার কাজ করা হোলো । তা ছাড়া ঠাকুরের স্থান সৰ্ব্বাগ্রে, জীবের স্থান (R \C)