পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার সম্পূর্ণ পরিচয় পাবার মতো কৌতুহলও যার নেই। যে মারের জমি বহুকাল থেকে আমরা নিজের হাতে তৈরি করেচি সেইখানেই আজ শত শতাব্দীর বেশি কাল ধরে বিদেশী মারের ফসল বুনে আসচে । আমাদের ধৰ্ম্মকে যদি সত্য করতে পারতুম, পূজার মধ্যে যথার্থ বীৰ্য্য, সেবার মধ্যে যথার্থ ত্যাগ থাকত, আমাদের সাধনা যদি যথার্থ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়ে মানুষকে সম্পূর্ণ আত্মীয়ভার সঙ্গে স্বীকার করতে পারত তাহলে কখনোই দেশকে এত যুগ ধরে এত দৈন্য এত অপমান সইতে হত না, দেশের এক প্রাস্ত থেকে আর এক প্রান্ত পৰ্য্যস্ত এত তুর্ভর অজ্ঞানের চাপে সমস্ত দেশের লোক এমন অসহায় ভাবে দৈবের দিকে তাকিয়ে মরত না । তুমি মনে কোরো না, বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিগত মানুষ আমার সাধনার লক্ষ্য । চিরন্তন বিরাট মানবকে আমি ধ্যানের দ্বারা আপনার মধ্যে গ্রহণ করবার চেষ্টা করি—- নিজের ব্যক্তিগত সুখ দুঃখ ও স্বার্থকে ডুবিয়ে দিতে চাই তার মধ্যে, অনুভব করতে চাই, আমার মধ্যে সত্য যা কিছু, জ্ঞানে প্রেমে কৰ্ম্মে, তার উৎস তিনি। সেই জ্ঞানে প্রেমে কৰ্ম্মে আমি আমার ছোটো আমিকে ছাড়িয়ে যাই, সেই যিনি বড়ো আমি, মহান আত্মা, র্তার স্পর্শ পেয়ে ধন্ত হই, অমৃতকে উপলব্ধি করি । সেই উপলব্ধির যোগে আমার পূজা আমার সেবা সত্য হয়, আত্মাভিমানের কলঙ্ক থেকে মুক্ত হয়। কৰ্ম্মই বন্ধন হয়ে ওঠে এই উপলব্ধির সঙ্গে যদি যুক্ত না হয়। য়ুরোপে এমন অনেক নাস্তিক আছেন র্যারা বিশ্বমানবের উপলব্ধির দ্বারা তাদের و& ;6