পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করেচেন তাকেও আমি প্রণাম করে মেনে নিই। এই উভয়ের মধ্যে জাতিভেদ ঘটিয়ে যদি পংক্তিবিভাগ করি, এবং এক পাশ ঘেষে সমস্ত জীবন কেবল শুচিবায়ুর চর্চা করি তাহলে কৃপণের গতি লাভ করব । কিন্তু একটি কথা মনে রেখো, চতুষ্পথে আমার চলা ; সম্প্রদায়ের দুর্গে রুদ্ধদ্বারের মধ্যে আমি বঁাচিনে । এই জন্যে যদিও আমি নিজের মত গোপন করিনে, তবু কাউকে ডাকাডাকি করে কোনোদিন বলিনে আমার মত গ্রহণ করে । তুমি নিজের পথে নিজের মতে চললে তোমার প্রতি আমার স্নেহ কিছুমাত্র ক্ষুণ্ণ হবে এমন শঙ্কা কোনোদিন কোরো না । স্বভাবতই তোমার চিত্তশক্তির একটি প্রসারতা আছে, এইরকম বেগবান চিত্তকে খোটায় বেঁধে বাধা খোরাক খাওয়ানো সহজ নয় । তোমার কঠিন দুঃখ হচ্চে এই দ্বিধা নিয়ে । তোমার সংস্কার এই যে, চিত্তকে পীড়িত করে খৰ্ব্ব করে তাকে বিশ্বের অধিকার থেকে নানা প্রকারে বঞ্চিত করে তবে সার্থকতা, অথচ তোমার প্রকৃতিতে যে বুদ্ধিশক্তি ও প্রাণশক্তির প্রাচুর্য্য আছে, সে অবারিত আকাশে আলো চায় হাওয়া চায় গতি চায় । সেই চাওয়াটাকে তুমি অপরাধ বলে ভয় পাও । পাখীকে খাচায় বন্দী করে তাকে আকাশভীরু করে তোলা হয়েচে । কিন্তু এই আকাশভীরুতা তার স্বভাব নয়, সে তার ডান দেখেই টের পাওয়া যায়। যাই হোক, আমাকে তোমার গুরু বলে গণ্য কোরো না, আপনার লোক বলেই জেনো । বাইরের দিক থেকে তোমার পরিচয় অল্পই পেয়েচি তবুও তোমাকে স্নেহ করা আমার পক্ষে a &