পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৮

[૭૧] পোস্টমার্ক, শাস্তিনিকেতন কল্যাণীয়েযু রথীকে লিখে দিয়েছি সুরেনের প্রস্তাবে আমি সম্মত আছি। যদিচ সুরেনের জন্তে আমার মনের মধ্যে যথেষ্ট উদ্বেগ রইল। এক হাতে সমস্ত বিষয় থাকার সুবিধা আছে যদি সেই এক হাত সতর্ক হয়। নতুবা একাধিপত্যে দায়িত্ব চলে যায় বলেই তার বিপদও আছে। সুরেন যদি সম্পূর্ণ মন দিয়ে বিষয়কৰ্ম্ম দেখতে পারে তাহলে ত ভালই হয়। কিন্তু যদি ওদের ইনস্থ্যরেন্স কম্পানিই ওর সুয়োরাণী হয় এবং জমিদারীটা হয় দুয়োরাণী তাহলে ফল ভাল হবেন। জমিদারী সম্বন্ধে আমাদের যে দায়িত্ব আছে সেটা আমাদের মনে থাকেনা বলেই এত তুর্গতি হয়েচে । আমি যদি নিঃসরিক কাজ করতে পারতুম তাহলে এইটেকেই মুখ্য কাজ করতুম r কিন্তু আমার ত কাজের বয়স চলে গেল। যাই হোক আগামী বৈশাখ থেকে নূতন নিয়ম যাতে চলে সেইরকম লেখাপড়া ইতিমধ্যে সেরে রেখে দিয়ো । দ্বিপুদের দলিলট কপি করলেই ত হবে । তুমি সাময়িক পত্রের সংক্ষিপ্ত সমালোচনাকে খাতির করে চল শুনে আশ্চৰ্য্য হলুম। ছাপার অক্ষর জিনিসটার একটা জাদু আছে। সেই জাদুর আবরণ কাটিয়ে স্বয়ং সমালোচক পুরুষটিকে যদি প্রত্যক্ষ দেখতে পেতে তাহলে অধিকাংশ স্থলেই দেখতে পেতে তার সম্পত্তির মধ্যে আছে ᎼᏬ