পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র २१S কোনোদিন দেবতা খুজিবে না। বুঝতে পেরেচি এই নিয়ে ঘরে পরে আমাকে ত্যাগ করবে। আমি ঠিক করেচি, যার যা মনের সাধ মিটিয়ে নিক, আমি আর কথা কইব न1 ।। তুমি হাবলুর সেই নোটগুলো নিয়ে ছাপতে দিতে চাও । কিন্তু আমার বক্তৃতার নোট নেওয়া শক্ত— আমি তড়বড় করে বলে যাই – তাছাড়া আমার ভাষা একটু বিশেষভাবে আমারই— যারা নোট নেয় তাদের পেন্সিলের ঠোকরে ওর চেহারা একেবারে বদলে যায়— বসন্তরোগের ঠোকর মারা মুখের চেয়েও বেশি । তা ছাড়া এসব বিচ্ছিন্ন বাক্যকে প্রবন্ধের রূপ দেবে কে ? আমার ত আর প্রবৃত্তি হয় না । লিখতে বসতে একটুও রুচি নেই। তার উপরে আবার তর্ক বিতর্কের ঘুরপাকের মধ্যেও ঢুকতে ঘোর অনিচ্ছ । তুমি যদি জোড়াতাড়া দিয়ে একটা কিছু খাড়া করে তুলতে পার তাহলে চেষ্টা দেখে । রামমোহনরায়ের সম্বন্ধে এখানে ছেলেদের কিছু বলেছিলুম— তারও নোট আছে। কিন্তু সেই নোটের টুকরো নিয়ে নাড়াচাড়া করতে ভাল লাগেন বলে তাতে হাত দিইনি। ...কিছুদিন শান্তিনিকেতনে ঘোরতর মিশনারিগিরি করে গেছে । নারী-মিশনারীরা কি পদার্থ তা ত জানই— তার পরে ...আবার যে-সে নারী নয়। এখানকার মেয়েদের খুব ধিক্কার দিয়ে গেছে। অামাকে জানিয়েচে দেশে যখন আগুন লেগেছে তখন বর্ষামঙ্গলের গান কর। অকৰ্ত্তব্য এবং যে Sbr