পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

I১২৮] *3 পোস্টমার্ক, মংপু ১১ জুন, ১৯৩৯ কল্যাণীয়েযু তোমার ছোটো গল্প পড়ে চেকভের ছোট গল্প মনে পড়ল । যা মুখে এসেছে তাই বলে গেছ হালকা চালে । এতে আলবোলার ধোয়ার গন্ধ পাওয়া যায়। এ রকম কিছুই না লিখতে সাহসের দরকার করে । দেশের লোক সাহিত্যে ভূরিভোজন ভালোবাসে– তারা ভাববে ফাকি দিয়েছ— কিম্বা ভাববে ঠাট্ট। বিবি আমার শরীরের খবর চায়— বিশেষ করে বলবার মতো নয়। গ্রীষ্মকালের অজয় নদীর মতো দশা, স্রোত বয় না— এখানে ওখানে প্রয়োজনের মতো জল পাওয়া যায়। খেয়ালমতো লেখার জোগান দিই কিন্তু সে হাটুজলের জোগান। বেঁচে থাকলেই দাবীর অন্ত থাকে না— নাম রক্ষে করার মতো সম্বল কোথায় । অ মোর অবস্থাটা হয়েছে সেই রকম, পাওনাদার ভিড় করে দাড়ায় অাপিসে, খাতাঞ্চি মুখ লু থাকে বাসায় । সামান্য কাজ করতেও এত অত্যন্ত বিতৃ ক্লান্তি বোধ হয় যে বেঁচে থাকাট। তুর্ভর হয়ে উঠেছে। এতদিন ধরে অনেক তো দিয়েছি—কিন্তু দেওয়া একটু বন্ধ হলেই পূর্বদানের উপরেও বদনাম আসে । দীর্ঘায়ুর বিপদ ঐ— সাবেক চালের ভূতটা কাধে চেপে থাকে তার পিণ্ডি জোটে না । আষাঢ়ের আরম্ভে স্বস্থানে ফিরব । রবীন্দ্র