পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র סיף বাহন আরিয়াম। এখন বৈশাখের মাঝামাঝি । কিন্তু বৈশাখ বলে পদার্থ এখানে কোথাও নেই— এখানে আছে এপ্রিল— তার চেহারা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। মেঘ করে আছে, থেকে থেকে টিপ টপ বৃষ্টি পড়চে, বাতাসকে শীতল বলা যায় কিন্তু সুশীতল বললে বাঙালী ভদ্রলোক যা বোঝে তার কাছ দিয়েও যায় না— দুঃশীতল বললে একটু বেশি বলা হয় কিন্তু নিতান্ত অন্যায় হয় না । আর মেঘ-শয্যায় যে সূৰ্য্যদেব লৗনপ্রায় আছেন— তাকে মাৰ্ত্তণ্ড বললে বেমানান শোনায়। এই তো গেল আকাশের খবর। ধরাতলে যে রবিঠাকুর বিগত শতাব্দীর ২৫ বৈশাখে অবতীর্ণ হয়েচেন তার কবিত্ব সম্প্রতি আচ্ছন্ন— তিনি এখন চিত্রকর রূপে প্রকাশমান— তার সম্পূর্ণ বিবরণ যখন পাবি তখন চমক লাগবে, কিন্তু নিজ মুখে এ সম্বন্ধে সত্য কথা বলতে গেলে অহঙ্কার করা হয়। পরম্পরায় যখন শুনবি তখনকার জন্যে নীরবে অপেক্ষা করাই ভালো। ২রা মে তারিখে প্রদর্শনীর দ্বারোন্মোচন । এইবার আমার চৈতালি— বর্ষশেষের ফসল সমুদ্রপারের ঘাটে সংগ্ৰহ হল। আমার পরম সৌভাগ্য এই যে আমাদের নিজপারের ঘাট পেরিয়ে এসেচি। অামার এই শেষ কীৰ্ত্তি এই দেশেই রেখে যাব । তোর উদ্বোধন পড়ে ভালো লাগল। কেবল একটি খুৎ আছে। বাধ্যতামূলক কথাটা আমি সইতে পারিনে। ঐ দুঃশব্দ ব্যবহারে ভদ্রভাষারীতির প্রতি অবাধ্যতা করা হয়। Compulsory of Wojos, voluntary of cotoss I