পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[to] ઉં কল্যাণীয়েযু এখানে একলা ছাতের উপর চুপ করে বসে থেকে আমার মনটা বেশ ঠাণ্ড থাকে কিন্তু দেখলুম শরীরের অবসাদ কিছুতেই ঘুঢ়চে না । সেটা যেন সিন্ধ বাদের বুড়ে মানুষটার মত ঘাড়ের উপর চেপে বসে আছে— যত দিন যাচ্চে ততই ভার যেন আরো বাড়চে । ভাই ভাবচি একবার তিনধরিয়াট পরখ করে দেখি । অামার এখানে আসবার একটা প্রধান কারণ ছিল দিমু ••• যদি পাহাড়ে যাই ওকেও সঙ্গে নিতে হবে। তোমরা যদি তিনধরিয়ায় যাও তাহলে আমার কোনো ভাবনাই থাকেন । কবে যেতে পারবে অামাকে জানালেই আমি চলে যাব। একটা গাড়ি সেই বুঝে রিজার্ভ কোরে । শরীরটাকে বদল করতে পারলে ভাল হত মেরামত করে আর চলচে না । তাকে একটু নাড়া দিতে গেলেই আজকাল এত বেশি গ্যাগে করচে যে আমার নিজেরই রাগ হয়। বেচারার বেশি দোষ নেই– পঞ্চাশ বছরে ওকে সত্তর বছরের ওজনে খাটিয়ে নিয়েচি– যাকে বলে overtime খাটুনি— কিন্তু তার মজুরী কি পেলুম তাই ভাবি । শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমি তোমাদের গুরুজন সে কথা মনে রেখে– অতএব যদি তিনধরিয়ায় তোমরা থাক তবে বাড়ির কৰ্ত্তা কে হবে সে কথা ভুল্পে চলবে না। কিন্তু একটা বাবুচি তোমরা নিয়ে, আমার উপর রসদের ভার রইল।