পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२० চিঠিপত্র লিখেছি এইটেই আমার মায়া বলে মনে হয় । গেলবারে যখন জাহাজে চড়বার দিনে মাথা ঘুরে পড়লুম, বিদায় নেবার বিষম তাড়ায় যাত্র। বন্ধ হয়ে গেল, তখন শিলাইদহে বিশ্রাম করতে গেলুম। কিন্তু মস্তিষ্ক ষোলো আন সবল না থাকলে একেবারে বিশ্রাম করবার মত জোর পাওয়া যায় না, তাই অগত্য মনটাকে শান্ত রাখবার জন্তে একটা অনাবশুক কাজ হাতে নেওয়া গেল। তখন চৈত্রমাসে আমের বোলের গন্ধে আকাশে আর কোথাও ফঁাক ছিল না এবং পাখীর ডাকাডাকিতে দিনের বেলাকার সকল ক’টা প্রহর একেবারে মাতিয়ে রেখেছিল । ছোট ছেলে যখন তাজা থাকে তখন মার কথা ভুলেই থাকে যখন কাহিল হয়ে পড়ে তখনি মায়ের কোলটি জুড়ে বসতে চায়— আমার সেই দশা হল । আমি আমার সমস্ত মন দিয়ে আমার সমস্ত ছুটি দিয়ে চৈত্রমাসটিকে যেন জুডে বসলুম— তার আলো তার হাওয়া তার গন্ধ তার গান একটুও আমার কাছে বাদ পড়ল না । কিন্তু এমন অবস্থায় চুপ করে থাকা যায় না— হাড়ে যখন হাওয়া লাগে তখন বেজে উঠতে চায়, ওটা আমার চিরকেলে অভ্যাস, জানিস্ত। अथळ ८कांभद्र ८बैं८थ किछू ८व्थयांब्र भड बल चांभांब्र हिल नां । সেই জন্তে ঐ গীতাঞ্জলির কবিতাগুলি নিয়ে একটি একটি করে ইংরেজিতে তর্জমা করতে বসে গেলুম। যদি বলিস কাহিল শরীরে এমনতর ফুঃসাহসের কথা মনে জন্মায় কেন— কিন্তু আমি বাহাঙ্কুরি করবার স্বরাশায় এ কাজে লাগি নি। আর একদিন যে ভাবের হাওয়ায় মনের মধ্যে রসের উৎসৰ জেগে