পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গ কথা । রবীন্দ্রনাথের চিঠিপত্রে এবং ব্যক্তিগত আলাপনে কখনো কখনো প্রত্যক্ষ ভাবে কখনো-বা পরোক্ষে স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। নিজ বিবাহ উপলক্ষে বন্ধু প্রিয়নাথ সেনকে তিনি যে স্বহস্তলিখিত নিমন্ত্রণপত্র পাঠাইয়াছিলেন, কৌতুকে পরিহাসে তাহ বিশিষ্ট ও সমুজ্জ্বল। পত্রটি বর্তমান গ্রন্থে কবির হস্তাক্ষরে মুদ্রিত হইয়াছে। এই পত্র তিনি প্রিয়নাথ সেন ব্যতীত আরো কোনো কোনো বন্ধুকে পাঠাইয়াছিলেন, নগেন্দ্রনাথ গুপ্তর নিম্নোদ্ভূত রচনা হইতে তাহা জানা যায়— I was present at Rabindranath’s marriage. He sent me a characteristic invitation in which he wrote that his intimate relative Rabindranath Tagore was to be married —“আমার পরম আত্মীয় শ্রমান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শুভ বিবাহ হইবে।” The marriage took place in Rabindranath’s own house and was a very quiet affair, only a few friends being present. – Nagendranath Gupta, “Some Celebrities”, The Modern Review, May 1927, p. 543. অধিক বয়সে কথোপকথনচ্ছলে রবীন্দ্রনাথ তাহার বিবাহপ্রসঙ্গে মৈত্রেয়ী দেবীর প্রশ্নের উত্তরে যাহা বলিয়াছেন 'মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’ (১৩) গ্রন্থ হইতে তাহা সংকলিত হইল । “আমার বিয়ের কোনো গল্প নেই । বৌঠানরা যখন বড় বেশী পীড়াপীড়ি শুরু করলেন, আমি বললুম, “তোমরা যা হয় কর, আমার কোনো মতামত নেই। র্তারাই যশোরে গিয়েছিলেন, আমি যাই নি । আমি ১ এ বিষয়ে ইন্দিরা দেবী তাহার ‘স্মৃতিকথা’য় লিখিয়াছেন, “রবিকাকার কনে খুঁজতেও তার বউঠাকুরানীরা. জ্যোতিকাকামশায় আর রবিকাকাকে সঙ্গে বেঁধে নিয়ে যশোর যাত্রা করলেন।” দ্রঃব্য, বর্তমান গ্রন্থ, পৃ. ১৩৪ )" ○