১
[সাহাজাদপুর। জানুয়ারি ১৮৯০]
ওঁ
ভাই ছোটবউ—
যেম্নি গাল দিয়েছি অম্নি চিঠির উত্তর এসে উপস্থিত। ভালমান্ষির কাল নয়। কাকুতি মিনতি করলেই অম্নি নিজমূর্ত্তি ধারণ করেন আর দুটো গালমন্দ দিলেই একবারে জলদিলে। এ’কেই ত বলে বাঙ্গাল। ছি, ছি, ছেলেটাকে পর্য্যন্ত বাঙ্গাল করে তুল্লে গা! আজ এতক্ষণ এক দল লোক উপস্থিত ছিল— তোমাদের চিঠি যখন এল তখন খুব কথাবার্ত্তা চল্চে চিঠিও খুলতে পারিনে, উঠ্তেও পারিনে। একদল উকীল আর স্কুলের মাষ্টার এসেছিল। আমার বই স্কুলে চালাবার জন্য কথাবার্ত্তা কয়ে রেখেছি কেবল বই আর পাচ্ছিনে। কই, আজও ত বই এসে পৌঁছল না। ভাল গেরোতেই ফেলেছ! রাজর্ষি যে-খানা আমার কাছে ছিল সেইটেই ইন্স্পেক্টরের হাতে দিয়েছি, নদিদির গল্পসল্পও দিয়েছি। আবার ইন্স্পেক্টরের গলা ভেঙ্গে গেছে বলে তাকে হোমিয়োপ্যাথি ওষুধও দিয়েছি— এতে অনেক ফল হতে পারে — তার গলা ভাঙ্গা না সারলেও তবু মনটা প্রসন্ন থাক্বে। দেখ্চ, বসে বসে কত উপার্জনের উপায় করচি! সকালে উঠেই বই লিখ্তে বসেছি তাতে কত টাকা হবে একবার ভেবে দেখ! ছাপাবার সমস্ত খরচ না উঠুক্ নিদেন দশ পঁচিশ টাকাও উঠবে। এইরকম উঠে পড়ে লাগ্লে তবে টাকা হয়! তোমরা ত কেবল