৩৪
[কুষ্টিয়া। শিলাইদহের পথে। ১৯০১]
ওঁ
ভাই ছুটি
কুষ্টিয়ায় এসে পৌঁচেছি। পৌঁছে একটা বিষয়ে বড় হতাশ্বাস হয়ে পড়েছি। এখানে শালাকে দেখলুম কিন্তু আমার শালাজটিকে দেখলুম না! তাকে গতকল্য কাশিতে তার মাতৃসন্নিধানে পাঠিয়ে দিয়ে কুষ্টিয়া নগরী অত্যন্ত নিশ্চিন্ত হয়ে আছে। তার খাট বিছানা তেমনি পড়ে রয়েছে, আলনায় তার অত্যন্ত ময়লা কাপড় ঝুল্চে— কিন্তু সে নেই! হায়!
তোমার মার বাতের মতো হয়ে কষ্ট পাচ্চেন। শিলাইদহে ভাল ছিলেন কুষ্টিয়ায় এসে তাঁকে বাতে ধরেছে। তোমাদের কিনুরামের প্রফুল্ল মুখ পুষ্ট শরীর দেখে তৃপ্তি লাভ করা গেল। সে আমার সঙ্গে কোন একটা বিষয়ে আলাপ করবার জন্যে বারম্বার ফিরে ফিরে আস্চে, ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্চে, কিন্তু আমাকে চিঠি লেখায় নিযুক্ত দেখে দুঃখিত মনে চলে যাচ্চে।
ষ্টীমারের অপেক্ষায় বসে আছি। বৈকালে শিলাইদহে চলে যাব।
কলকাতার নতুন বাড়িতে যে আলমারিতে বই আছে তার চাবি কার কাছে? তার থেকে গোটাকতক বই আমার দরকার।
কাল অর্দ্ধরাত্রে কলকাতায় খুব ঝড়বৃষ্টি হয়ে গেছে। আমার যাত্রার আয়োজন আর কি! এখানে তিনচার দিন
৬৪