পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিথা স্বহস্তে জালাইয়াছিলেন, ইহাদের মধ্যে অধিকাংশই ট্রপিকসের অস্তগত, উষ্ণ স্বৰ্য্যের করাধীন। সেই পুরাতন কালচক্র পৃথিবীর পূৰ্ব্বপ্রাস্তে পুনৰ্ব্বার কেমন করিয়া ফিরিয়া আসিবে তাহ ষ্ট্যাটিষ্টিকস্ এবং তর্কদ্বারা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য, কারণ বড় বড় জাতির উন্নতি ও অধোগতি বিধির বিচিত্র বিধানে ঘটিয়া থাকে, তার্কিকের তর্কশৃঙ্খল তাহার সমস্ত মাপিয়া উঠিতে পারে না ; তাহার কম্পাসের অৰ্দ্ধাংশ মাত্রের ভুল বিশাল কালপ্রাস্তরে ক্রমশই বাড়িতে বাড়িতে সত্য হইতে বহু দূরে গিয়া বিক্ষিপ্ত হয় । প্রসঙ্গক্রমে এই অবাস্তর কথা মনের আক্ষেপে আপনি উঠিয়া পড়ে। কারণ, যখন দেখিতে পাই ক্ষুধিত যুরোপ ঘরে বসিয়া সমস্ত উষ্ণভূভাগকে ংশ করিয়া লইবার জন্য খড়ি দিয়া চিহ্নিত করিতেছেন তখন নিঞ্জেদিগকে সম্পূর্ণ মৃতপদার্থ বলিয়া শঙ্কা হয়, তখন নিজেদের প্রতি নৈরাপ্ত এব: অবজ্ঞা অন্ত:করণকে অভিভূত করিতে উদ্যত হয়। ঠিক এইরূপ সময়ে জগদীশ বস্থর মত দৃষ্টান্ত আমাদিগকে পুনৰ্ব্বার আশার পথ দেখাইয়া দেয় । জগদীশ বসু জগতের রহস্তান্ধকার-মধ্যে বিজ্ঞানরশ্মিকে কতটুকু অগ্রসর করিয়াছেন তাহ আমাদের মধ্যে অধিকাংশ লোকই ঠিকমত জানি না এবং জানিবার শক্তি রাখি না, কিন্তু সেই স্বত্রে আশা এবং গৌরবের উৎসাহে আমাদের ক্ষমত অনেকখানি বাড়াইয়া দিয়াছে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই । ه ۰ و لا ]