পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগদীশচন্দ্র তরুণ বয়সে জগদীশচন্দ্র যথন কীর্তির দুর্গম পথে সংসারে অপরিচিতরূপে প্রথম যাত্র আরম্ভ করেছিলেন, যখন পদে পদে নানা বাধা তার গতিকে ব্যাহত করছিল, সেই সময়ে আমি তার ভাবী সাফল্যের প্রতি নি:সংশয় শ্রদ্ধাদৃষ্টি রেপে বারে বারে গদ্যে পদ্যে তাকে যেমন করে অভিনন্দন জানিয়েছি, জয়লাভেল পূর্বেই তার জয়ধ্বনি ঘোষণা করেছি, আজি চিরবিচ্ছেদের দিনে তেমন প্রবল কণ্ঠে তাকে সম্মান নিবেদন করতে পারি সে শক্তি আমার নেই। আর কিছু দিন আগেই অজানা লোকে আমার ডাক পডেছিল । ফিরে এসেছি । কিন্তু সেখানকার কুহেলিকা এপন ও আমার শরীর মনকে ঘিরে রয়েছে । মনে হচ্ছে, আমাকে তিনি র্তাব অস্তিমপথের আসন্ন অল্পবর্তন নির্দেশ করে গেছেন । সেই পথযাত্রী আমাল পক্ষে আমার বয়সে শোকের অবকাশ দীর্ঘ হতে পাবে না । শোক দেশের হয়েছে । কিন্তু বিজ্ঞানের সাধনায় যিনি তাল কুতিত্ব অসমাপ রেখে যান নি, বিদায় নে ওয়াল দ্বারা তিনি দেশকে বঞ্চিত BBB BBBBB BS K BBB BS BBB DS DDDD S BBBB BBB আঘাতে সেই সম্পদের উপলব্ধি আরো উজ্জল হয়ে উঠবে, যেখানে তিনি সত্য সেখানে তাকে বেশি করে পাওয়াল সুযোগ ঘটবে । বন্ধুরূপে আমার যা কাজ সে আমার যখন শক্তি ছিল তখন করতে ক্রটি করি নি । কবিরূপে অামাল যা কৰ্ত্তব্য সে ও আমার পূর্ণ সামর্থ্যের সময় প্রায় নি:শেম কবে দিয়েছি-– তার স্মৃতি আমার রচনায় কীর্তিত হয়েই রয়েছে । বিজ্ঞান ও লসসাহিত্যের প্রকোষ্ঠ সংস্কৃতির ভিন্ন ভিন্ন মহলে, কিন্তু তাদের মধ্যে যা ওয়া-আসার দেনা-পা ওনার পথ আছে । জগদীশ ছিলেন সেই পথের পথিক । সেই জন্যে বিজ্ঞানী ও কবির মিলনের উপকরণ > ૨ ૩