পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যালয় যখন ওর অন্তঃকরণকে স্পর্শ করলে সে ত কোনো কৃত্রিম উপকরণ বা বাহ প্রলোভন দিয়ে নয়। সে নিঃসন্দেহ ক্রমশই আমাদের অগোচরে চিত্তের সামগ্রী কিছু পাচ্ছিল— যখন থেকে তাই পেতে আরম্ভ করলে তখন থেকে আপনিই আপনার মধ্যে ওর উদ্বোধন হতে লাগল। এই উদ্বোধনের মত এমন গভীর এবং বড় জিনিষ জগতে আর কিছুই নেই– যে লোক তা উপলব্ধি করেছে সে তার আনন্দকে কোনোদিন ভুলতে পারবেন। কিন্তু সত্য এমন একটি জিনিষ যাকে নিয়ে যেমন খুসি চলা যায় না। তাকে তার নিজের পথ খানিকটা ছেড়ে দিতেই হয়। যদি কোনো মানুষকে কোনো একটি বিশেষ গণ্ডীর মধ্যে কোনো একটি বিশেষ ইচ্ছার দ্বারা বেষ্টিত করে রাখতে ইচ্ছা করেন তাহলে তাকে এই সত্য উপলব্ধির প্রবল বিকাশ থেকে দূরে রাখতেই হবে । শূদ্রের উপর ব্রাহ্মণ যখন কর্তৃত্ব করতে চেয়েছিল, যখন তাকে বিশেষ প্রয়োজনে লাগাতে চেয়েছিল তখন তাকে কেবল সামাজিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নি, তাকে সত্যলাভের সুযোগ থেকে সৰ্ব্বপ্রকারে বঞ্চিত করেছিল । কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই এমন কথা বলবেন না, যে মানুষের অন্তরাত্মার বিকাশ তার আর সমস্ত প্রয়োজনের চেয়ে বড় নয়। এই অন্তরাত্মার বিকাশ আপাতত সমাজে সংসারে যতই অসুবিধাকর হোক না, এর চেয়ে মানুষের শ্রেষ্ঠ জিনিষ আর কিছুই নেই। অরবিন্দের অন্তরের মানুষের জাগরণ হয়েছে— তার ক্ষুধা, তার কান্না, তার চাঞ্চল্যকে আপনি যদি আপদ মনে করেন তাহলে ভুল ఏ8E