পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫ নভেম্বর ১৯ • ৮ खै বোলপুর কল্যাণীয়াসু মাতঃ, আমি কিছুকাল পদ্মায় বোটে ছিলাম– শরীর ভাল ছিলনা। এখনো বিশেষ ভাল নাই । নানা কৰ্ম্মজালেও জড়িত আছি এই জন্যই পত্র লিখিতে পারি নাই । বোধ করি শরীরের একটা চিরন্তন ক্লাস্তিবশতই পত্র লিখিতে জড়তা উপস্থিত হয় । এখন আমার বয়স হইয়া গেছে— অনেক ঘটনা, অনেক চিন্তা, অনেক সুখদুঃখের ভিতর দিয়া চলিয়া আসিয়াছি । তোমাদের এখন অল্প বয়স — তোমাদের সমস্ত মন এখন যে ক্ষেত্রে আছে সেখান হইতে আমাদের চিন্তার বিষয়গুলি বেশ সুস্পষ্ট ও সত্যরূপে তোমাদের গোচর হয় না— এই জন্যই আমার কথা তুমি ঠিক বুঝিতেছ না । কথা ত কেবল কথার মানে দিয়া বোঝা যায় না— সমস্ত প্রকৃতি দিয়া জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতা দিয়া বুঝিতে হয় । এই জন্যই, আমার লেখা পড়িয়া তোমার কাছে তাহার অর্থ যদি অস্পষ্ট ঠেকে তবে মনে কোনো ক্ষোভ করিয়ো না । পথ অসংখ্য আছে – তোমার কাছে যে পথ সহজ সেই পথ দিয়াই একদিন তুমি সত্যে গিয়া উপনীত হইবে— আমার পথেরই যে অতুসরণ করিতে হইবে এমন কোনো কথা নাই । কেবল এই কথা মনে রাখিয়ো— ঈশ্বরই সত্য স্বরূপ—সেই পূর্ণ সত্যের অভিমুখেই চলিতে হইবে – অনেক ক্ষুদ্র জিনিষ আমাদিগকে পথের মধ্যে 〉8 ○