পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'মানসী’তে প্রকাশিত আমার প্রবন্ধের বক্তব্য, সেগুলি কি শাস্তম শিবম অদ্বৈতম মন্ত্রের প্রতীক ( symbol ) স্বরূপ আপনার মনের মধ্যে নাই ? কবি । তোমার ব্যাখ্যা যে সম্ভব হতে পারে তা আমি অস্বীকার করি না। উপনিষদের এই মন্ত্র আমারও জীবনের মূলমন্ত্র । এই মন্ত্র নিয়ে শাস্তিনিকেতন’ পত্রিকায় বহুবার অনেক কথাই লিখেছি। সুতরাং ইহার আভাস যে আমার কবিতাগুলির মধ্যেও থাকবে তা কিছুই বিচিত্র নয়। তবে আমি যে সর্বদাই এই মন্ত্র স্মরণ করে লিখে গেছি, এ কথা মনে করলে ভুল করা হবে । Symbolsএর উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের লক্ষ্যকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া। প্রত্যেক মানুষই তার জীবনে একটা-কিছু লক্ষ্য অথবা উদ্দেশু ঠিক করে রাখে, যাকে সে উপলব্ধি করবে। যাহাতে আমরা এই লক্ষ্য ভুলে না যাই, তাকেই সহজভাবে মনের মধ্যে জাগিয়ে রাখবার চেষ্টা রয়েছে এই symbol স্বষ্টির মধ্যে । জাপানে কচি গাছের ডালকে স্বর্ণের symbol স্বরূপ ব্যবহৃত হতে দেখেছি। কিন্তু জীবনের প্রত্যেক খুটিনাটির মধ্যেই যদি আমরা এই symbol C73Rio চেষ্টা করি, তা হলে ভুল হবে। symbolকে কেন্দ্র করে মামুষের জীবনের পরিধি বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে ; এবং সেগুলির মধ্যে symbolকে হয়তো ঠিকভাবে নাও দেখতে পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা বলে সেগুলিকে অবাস্তর বলে উড়িয়ে দেব না, কারণ তা হলে জীবনের অসীম বৈচিত্র্যকে ভুলে যাওয়া হবে । পত্র ১। ইহা অহলিপি হইতে ত্রিত মূল চিঠিখনি পাওয়া যায় নাই তাহাতে তারিখ ও স্বাক্ষর ছিল কি না জানা যায় না। এই গ্রন্থে মুদ্রিত ১ 'রবীন্দ্ৰকাব্যে পরিকল্পনার একটি বিশেষত্ব, মানসী ও মৰ্ম্মবাণী, অগ্রহায়ণ ১৩৩৪ । >br@