পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই সত্য সমস্ত অপরিচয় অতিক্রম করিয়া কাহারো কিছু কাজে লাগিল। তোমার চিঠিতে যে সরল শ্রদ্ধা তুমি আমাকে অজস্র দিয়াছ তাহা এমন স্নিগ্ধ যে অনেক প্রবল সন্তাপের মধ্যেও তাহ আমার হৃদয় জুড়াইয়াছে । জান ত চারিদিক হইতে অবমাননা আমি অনেক পাইয়া থাকি ; সে জন্ত কাহাকেও দোষ দিই না। তপস্যাও করিব অথচ তাপ_সহিব না এমন সৌধীন তপস্যার কোনো অর্থ নাই _কিন্তু তবুও তাপত তাপই বটে। তাই এই সমস্ত লাঞ্ছনার ভিতরে তোমার স্নিগ্ধ চিঠিগুলি যখন পাই তখন আমার তপ্তললাটে আমি আমার দেশ-মাতার সেবাহস্ত অনুভব করি। আমার কাছে তুমি শাস্তির সম্বল চাহিতে আসিয়াছিলে কিন্তু আমাকে তুমি অনেক সাস্তুনা দিয়া গিয়াছ । তোমাকে দিবার মত কিছু শক্তি বা সঞ্চয় আমার নাই– অন্তরের আশীৰ্ব্বাদ দিলাম। তোমার জীবনের সমস্ত অভাবকে ভগবান তার প্রেমের অমৃতরসে পরিপূর্ণ করিয়া রাখুন। তোমার ব্যথার প্রদীপে র্তার পূজার আলোকশিখা জলিয়া উঠুক। আমার জন্য মা তুমি মনে কোনো উদ্বেগ রাখিয়ে না। এখন ত পান্থশালায় আমার বসিয়া থাকার দিন নয়— এখন আমি চলার পথে । দীর্ঘ কাল আমার কোনো খবর পাও বা না পাও তোমার প্রতি আমার স্নেহ মান হইবে না— সেই স্নেহই যদি তোমার অন্তরে সাম্ভুনা দিতে পারে তবে তাহা সফল হইল— به وی\