এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চিত্ত-প্রদীপ
যখন তোমার বিদায়-বাঁশী “আসি ওগো আসি"
মন্দ মধুর গন্ধ ধারায় ছন্দে বেড়ায় ভাসি।
তখন আমার 'আমি' লুটায় পথেই ভাঙি,
জীয়ন কাটি রয় যে শুধু “আগমনী” গানে।
যখন তোমার চরণ ধ্বনি বাজে আমার কাণে
ভাবের ঘরে খুন
মুখ ফিরালে কেন আমার টুকু সুখেরই মুখ দেখা।
বুক জুড়ানো দুখ ভুলানো সব সুখের ঐ শেষ রেখা॥
শতেক আশার ফুলঝুরিতে একটা আশার কণা৷
তিলেক টুকুন দিতেও তোমার এতই কৃপণপণা?
না হয় হল-ই কলা ষোল-ই না' হয় হল-ই টুকু,
এই অবেলায় না হয় মালায় ভরিয়ে দেওয়া বুক॥
না হয় আমার ছেলেখেলার নেইকো কিছুই মানে।
তাই বলে কি ভেস্তে দেবে ভোল ফেরানো গানে?
গাইতে বসে নীরবতা চাইতে বসেও চুপ।
তাইতে আজি বন্ধ হল বুক দেখানে মুখ?
টুক্ সুখেরি ডুব-সায়রে মন যে আজি উন্মনা।
আজকে তোমার কৃপণতা শুনবো না গো শুনবো না।
কেইবা তোমার চেয়ে ছিল হঠাৎ দেওয়া চুম্?
তাই না আমায় করলো আজি ভাবের ঘরে খুন॥
১৪