পাতা:চিত্রাঙ্গদা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
চিত্রাঙ্গদা

ধীরে ধীরে বাহিরিয়া কে আসি দাঁড়ালো
সরোবরসোপানের শ্বেত শিলাপটে।
কী অপূর্ব রূপ! কোমলচরণতলে
ধরাতল কেমনে নিশ্চল হয়ে ছিল!
উষার কনকমেঘ দেখিতে দেখিতে
যেমন মিলায়ে যায় পূর্বপর্বতের
শুভ্র শিরে অকলঙ্ক নগ্ন শোভাখানি
করি বিকশিত, তেমনি বসন তার
মিলাতে চাহিতেছিল অঙ্গের লাবণ্যে
সুখাবেশে। নামি ধীরে সরোবরতীরে
কৌতূহলে দেখিল সে নিজ মুখচ্ছায়া;
উঠিল চমকি। ক্ষণপরে মৃদু হাসি
হেলাইয়া বাম বাহুখানি হেলাভরে
এলাইয়া দিলা কেশপাশ; মুক্ত কেশ
পড়িল বিহ্বল হয়ে চরণের কাছে।
অঞ্চল খসায়ে দিয়ে হেরিল আপন
অনিন্দিত বাহুখানি, পরশের রসে
কোমল কাতর, প্রেমের-করুণা-মাখা।
নিরখিলা নত করি শির, পরিস্ফুট
দেহতটে যৌবনেব উন্মুখ বিকাশ।
দেখিলা চাহিয়া নব গৌরতনু-তলে
আরক্তিম আলজ্জ আভাস। সরোবরে

২১