পাতা:চিত্রাঙ্গদা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
চিত্রাঙ্গদা

দাঁড়াইয়া দীর্ঘকায় বনস্পতিসম
দণ্ডধারী ব্রহ্মচারী ছায়াসহচর।

প্রথম সে নিদ্রাভঙ্গে চারি দিক চেয়ে
মনে হল, কবে কোন্‌ বিস্মৃত প্রদোষে
জীবন ত্যজিয়া, স্বপ্নজন্ম লভিয়াছি
কোন্‌-এক অপরূপ মোহনিদ্রালোকে
জনশূন্য ম্লানজ্যোৎস্না বৈতরণীতীরে।

দাঁড়ানু উঠিয়া। মিথ্যা শরম সংকোচ
খসিয়া পড়িল শ্লথ বসনের মতো
পদতলে। শুনিলাম, “প্রিয়ে! প্রিয়তমে!”
গম্ভীর আহ্বানে মোর এক দেহমাঝে
জন্ম জন্ম শত জন্ম উঠিল জাগিয়া।
কহিলাম, “লহ, লহ, যাহা-কিছু আছে
সব লহ, জীবনবল্লভ!” দুই বাহু
দিলাম বাড়ায়ে।—চন্দ্র অস্ত গেল বনে,
অন্ধকারে ঝাঁপিল মেদিনী। স্বর্গমর্ত
দেশকাল দুঃখসুখ জীবনমরণ
অচেতন হয়ে গেল অসহ্য পুলকে।

প্রভাতের প্রথম কিরণে, বিহঙ্গের

৩৫