কবি জয়দেব
আজ থেকে প্রায় আটশো বছর আগেকার বাংলা।
বাংলায় রাজা তখন বল্লাল সেন। বৃদ্ধ হয়েছেন। যুবরাজ লক্ষ্মণ সেনই তখন বৃদ্ধ পিতার হয়ে রাজ-কার্য্য পরিচালনা করেন।
যুবরাজ লক্ষ্মণ সেনের পরাক্রমে গৌড়-রাজ্য কলিঙ্গ পর্য্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। তাঁর বীরত্বের কাহিনী নিয়ে কবিরা কাব্য লিখেছেন। যখন তিনি শিশু, তখন থেকেই তীরধনুক নিয়ে রীতিমত অস্ত্রবিদ্যা শিখতে আরম্ভ করেন। কথিত আছে সেই বালককালেই তাঁর নিক্ষিপ্ত বাণ গঙ্গার এ-তীর থেকে ও-তীরে গিয়ে পড়তো।
কিন্তু আজ আর রাজত্বে যুদ্ধের কোন আবহাওয়াই নেই। পরিপূর্ণ শান্তির মধ্যে গৌড়রাজ্যের প্রজারা যুদ্ধ-বিগ্রহের কথা ভুলে গিয়েছে। নিয়মিত যোদ্ধারাও ক্রমশঃ অস্ত্র ত্যাগ করে নাগরিক জীবনের শান্ত স্রোতে গা ঢেলে দিয়েছে।
এ হেন সময়ে যুবরাজ লক্ষ্মণ সেনের কাণে একদিন ভয়াবহ এক গুরু-নিন্দার কথা ভেসে এলো। পিতৃ-নিন্দা। বৃদ্ধ বল্লাল সেন নাকি এক তরুণী চণ্ডালরমণীর সঙ্গে সংগোপনে প্রেম-লীলা করছেন!