চিত্রে জয়দেব
যুবরাজ লক্ষ্মণ সেন রীতিমত ব্যথিত হলেন। বৃদ্ধ পিতা সম্বন্ধে এ হেন কুৎসায়, যে-কোন তরুণ পুত্রেরই মনে ক্ষোভ জন্মায়, বিশেষতঃ সে-পিতা আবার দেশের রাজা। তাঁরই আদর্শে একদিন এই গৌড়-সমাজে মানুষের কৃতিত্বের উপর মানুষের কৌলীন্যের ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে, সেই তিনিই কি না এই বৃদ্ধ বয়সে এক তরুণী চণ্ডালরমণীর কামে নিজের সমস্ত চারিত্রিক মর্য্যাদা বিসর্জ্জন দেবেন?
যুবরাজ লক্ষ্মণ সেন অনুসন্ধান করতে লাগলেন, এ কুৎসার মূল কোথায়? কিছুদিন যাবৎ বল্লাল সেন রাজপ্রাসাদ থেকে অনুপস্থিত। রাজপুরচারীদের ধারণা তিনি কোথাও গঙ্গার ধারে নির্জ্জন-বাস করতে গিয়েছেন।
লক্ষ্মণ সেন অনুসন্ধান করে জানলেন, বৃদ্ধ পিতা সেই চণ্ডালরমণীকে নিয়ে নির্জ্জন এক উদ্যানে তান্ত্রিক শক্তি-সাধনা করছেন। অন্ততঃ এইভাবেই সংবাদটা তাঁর কাছে অনুসন্ধানের ফলে এলো।
তন্ত্র-সাধনার নামে তখন সমগ্র রাঢ় আর বরেন্দ্রভূমিতে এক জাতীয় সংগোপন কামলীলা সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিতে আরম্ভ করেছে। পরিপূর্ণ শান্তি আর স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে মানুষের অলস মন তখন একমাত্র যৌনতৃপ্তির মধ্যে জীবনের বিচিত্রতার স্বাদ উপভোগ করতে চলেছে। ধর্ম্মও বিকৃত হয়ে সমাজের এই কাম-লিপ্সার সহায়ক হয়ে উঠেছে। তান্ত্রিক সাধনার নামে নারী-উপাসনাকে কেন্দ্র করে সংক্রামক ব্যাধির মতন এই
[দুই]