পাতা:চিত্রে জয়দেব ও গীতগোবিন্দ.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

গীতগোবিন্দ

চরিত্রহীনতা আর যৌন-লিপ্সা সমাজকে পেয়ে বসেছে। এবং তার পরিণাম যে কি হয়েছিল, তা লক্ষ্মণ সেন বৃদ্ধ বয়সে নিজে চোখে দেখে গিয়েছিলেন। মুষ্টিমেয় তুর্কী সৈন্য এসে অনায়াসে এই বীর্য্যহীন ভ্রষ্টচরিত্র জাতিকে পদানত করে। সেই সামাজিক অধঃপতন বল্লাল সেনের আমল থেকেই শুরু হয়।

 বৃদ্ধ পিতার সেই সংগোপন আচরণে তরুণ যুবরাজের অন্তর ক্ষুণ্ণ ও বিদ্রোহী হয়ে উঠলো। তরুণ লক্ষ্মণ সেনের মনে একটা আভিজাত্য-সুলভ মহত্তর জীবনের প্রতি আস্পৃহা ছিল, তাতে নিদারুণ আঘাত লাগলো। লক্ষ্মণ সেন নীরবে পিতার এই পরিবর্ত্তনকে সহ্য করতে পারলেন না। তিনি সমস্ত ব্যাপার জানিয়ে পিতাকে পত্র লিখলেন এবং সেই পত্রে তাঁকে নিবৃত্ত হতে অনুরোধ করলেন।

 বৃদ্ধ বল্লাল সেন পুত্রের এই আচরণকে ঔদ্ধত্য হিসাবে দেখলেন এবং তান্ত্রিক সাধনার দোহাই দিয়ে নিজের কৃতকর্ম্মকে সমর্থন করলেন।

 এই নিয়ে পিতা-পুত্রে রীতিমত একটা মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলো। যুবরাজ লক্ষ্মণ সেন অভিমানে কিছুদিনের জন্য রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করে তাঁর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত বীরভূম জেলার কেন্দুবিল্ব গ্রামে বসবাস করতে লাগলেন।

 অজয় নদের ধারে এই কেন্দুবিল্ব গ্রাম। অজয়ের ধারে এই গ্রামে

[তিন]