পাতা:চিত্রে জয়দেব ও গীতগোবিন্দ.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চিত্রে জয়দেব

সেনবংশেরই নির্ম্মিত এক দুর্গ ছিল, সেনপাহাড়ী নামে তা জনসাধারণে পরিচিত ছিল। পিতার উপর অভিমান করে যুবরাজ লক্ষ্মণ সেন কেন্দুবিল্বের এই সেনপাহাড়ী দুর্গে এসে বাস করতে লাগলেন।

 ঠিক সেই সময় এই অজয় নদের তীরে কেন্দুবিল্ব গ্রামে একজন তরুণ ব্রাহ্মণ-যুবা আপনার মনে শাস্ত্র আর কাব্যচর্চ্চা করে চলেছিলেন। সেই যুবক-কবির কাব্য-প্রতিভাই এক দিন লক্ষ্মণ সেনের নামকে বাংলার কৃষ্টির ইতিহাসে অমর করে রেখে দিয়ে যায়। সেই যুবক-কবিই হলেন জয়দেব গোস্বামী, শ্রীশ্রী গীতগোবিন্দ কাব্যের অমর রচয়িতা।

দুই

 গীত-গোবিন্দের শেষ শ্লোকে কবি জয়দেব নিজেই তাঁর মাতাপিতার পরিচয় দিয়ে গিয়েছেন।

 পিতা শ্রীভোজদেব, জননী বামা দেবী। এ ছাড়া কবির সাংসারিক জীবনের আর কোন পরিচয়ই পাওয়া যায় না তাঁর লেখা থেকে।

 তাঁর লেখা থেকে আর দুটি নাম পাওয়া যায়। একটি নাম হলো তাঁর কোন প্রিয় বন্ধুর, পরাশর। গীতগোবিন্দ কাব্য লিখে কবি ফুলের মালার মতন সেই কাব্যকে প্রিয় বন্ধুর গলায় উপহারস্বরূপ দিয়ে গিয়েছেন। আর একটি নাম হলো, তাঁর প্রিয়তমা পত্নীর, পদ্মাবতী। পদ্মাবতীর চারণ

[চার]