পাতা:চিত্রে জয়দেব ও গীতগোবিন্দ.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

গীতগোবিন্দ

কবিরূপে যেভাবে কবি নিজেই নিজের পরিচয় দিয়েছেন, প্রিয়তমা পত্নীর সেই নামোল্লেখের ভেতর থেকে বোঝা যায়, কি নিবিড় প্রেম ছিল তাঁদের দুজনার মধ্যে। জীবনের মর্ম্মমূলে থেকে যে নিবিড় প্রেম তাঁকে জাগিয়ে তোলে, সেই প্রেমেরই দিব্য প্রকাশ দেখি তাঁর সৃজিত কাব্যে।

 একান্ত দুঃখের বিষয়, বাংলার এই মহাকবির জীবনের কাহিনী কালের অতল তলে হারিয়ে গিয়েছে, পড়ে আছে শুধু কতকগুলি কাহিনী আর কিম্বদন্তী। তাই থেকে এখানে চেষ্টা করেছি, কল্পনায় আর সত্যে মিশিয়ে বাংলার সেই অমর কবির জীবনকে গেঁথে তুলতে।

তিন

 নীল সমুদ্রের ধারে পুরীধামে জগন্নাথদেবের মন্দির।

 স্নানযাত্রা উপলক্ষে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এসেছে যাত্রীর দল, শত শত মাইল পায়ে হেঁটে তারা এসেছে জগন্নাথদর্শনে। জগন্নাথদেবের চরণে নিবেদন করতে অন্তরের বাসনা। নীলাচলবাসী জাগ্রত ভগবান, অন্তরের ভক্তির আকুলতায় আর একাগ্রতায় পুরুষোত্তমের কাছে যে যা প্রার্থনা করে, তাই নাকি সিদ্ধ হয়। নীলসমুদ্রের তীরে জেগে আছেন চিরজাগ্রত জগন্নাথ।

 যাত্রীদের ভিড়ের ভেতর থেকে দেখা যায় দক্ষিণ-দেশবাসী এক দম্পতীকে।

 স্বামী-স্ত্রীতে সমুদ্র-স্নান করে উঠে ইষ্টনাম জপ করে, তারপর সেই সিক্ত বসনেই জগন্নাথদেবদর্শনে মন্দিরে যাত্রা করে।

[পাঁচ]