এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গীতগোবিন্দ
করতেই হতো। দেবতা নিজেই তোমাকে আর কোন উপায়ে স্মরণ করিয়ে দিতেন। ভগবানের নামে উৎসর্গীকৃত যাদের জীবন, তাদের জীবন দিয়ে ভগবান তাঁর নিজের কাজ করিয়ে নেন্। তুমি ভাগ্যবান, এমন কন্যার জনক হয়েছ। আমি স্পষ্ট দেখছি, তোমার এই কন্যা কোন মহৎ দৈবকার্য্য সম্পন্ন করবার জন্যেই জন্মগ্রহণ করেছে। তাকে তোমার স্নেহের পাঁচিল দিয়ে বেঁধে রাখতে পারবে না ব্রাহ্মণ!
ব্রাহ্মণ পাথরের মতন নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকে। সাধু যেমন এসেছিলেন, আবার তেমনি চলে যান।
পাঁচ
ব্রাহ্মণ যতই শপথের কথা ভাবে, ততই বিকল হয়ে ওঠে। দেখতে দেখতে তার আনন্দের স্বর্গলোক কি এক অজানা বিষাদে ম্লান বিবর্ণ হয়ে এলো। অষ্টপ্রহর সেই এক দুশ্চিন্তা ব্রাহ্মণকে ক্ষিপ্তপ্রায় করে তুল্লো।
পিতার সেই ভাবান্তর দেখে পদ্মাবতী পিতাকে আরো নিবিড় স্নেহে বাঁধতে
[নয়]