গীতগোবিন্দ
করে দিতে উদ্যত হয়েছেন। অমোঘ দেবতার বিধান। ব্রাহ্মণ মনে মনে বলে, হে প্রভু, হে জগন্নাথ, তোমারি ইচ্ছা সফল হোক্! আমি আর আমার স্নেহে তোমার নৈবেদ্য থেকে তোমাকে করবো না বঞ্চিত!
বিস্ময়ের ব্যাপার, রাত-প্রভাত না হতেই পদ্মাবতী শয্যা থেকে উঠে বসে, যেন ঘুম থেকে জেগে উঠলো। বিগত দিনের জ্বরের কোন চিহ্ন পর্য্যন্ত নেই দেহমনে।
বৃদ্ধ বৈদ্য রোগী দেখতে এসে পরমোল্লাসে ঘোষণা করেন, তাঁর ওষুধ অব্যর্থ, স্বয়ং ধন্বন্তরির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তিনি করতে পারেন!
ব্রাহ্মণ নীরবে শুধু উপলব্ধি করে, কোন্ মহাবৈদ্যের চিকিৎসায় ঘটলো এই অঘটন।
ব্রাহ্মণ সাশ্রু-নেত্রে সমস্ত কথা পদ্মাবতীকে জানায়, তার জন্মাবার আগে কিভাবে শপথ করে তাকে জগন্নাথদেবের চরণে সমর্পণ করা হয়েছিল।
নীরবে পদ্মাবতী সে-কাহিনী শোনে। তার অন্তরে যেন সুদূর কোন্ জন্মান্তর থেকে জেগে উঠতে থাকে বিচিত্র সব আহ্বান। এক নতুন আলোকে সে নিজেকে যেন নতুন করে দেখে।
[এগার]