গীতগোবিন্দ
বসন, সর্ব্ব-অঙ্গ পর-নায়িকার সঙ্গে প্রেমবিহারের নখক্ষত চিহ্ন তখনও কুরুবককলির মতন রক্তিম হয়ে রয়েছে। নিদারুণ অভিমানে শ্রীমতী একটীও কথা না বলে দিলেন প্রিয়তমকে বিদায়। তারপর শুরু হলো বিদগ্ধ মাধবের অনুশোচনা। নানাভাবে তিনি শ্রীমতীর মান ভাঙ্গবার জন্যে মিনতি করেন। ক্রমশঃ শিথিল হয়ে আসে শ্রীমতীর মান। উপযাচিকা হয়ে শ্রীমতী সখীদের নিয়ে উপস্থিত হন আবার কৃষ্ণের কুঞ্জদ্বারে। অপগত-মান শ্রীমতীকে দেখে আনন্দ-রসে উদ্বেল হয়ে ওঠে শ্রীকৃষ্ণের অন্তর। শ্রীমতীকে আলিঙ্গন করে বলেন, তুমি আমার, আমি তোমার, তোমার আমার মধ্যে কোথাও নেই বিচ্ছেদ!
তখনও শ্রীমতীর মুখে কোন কথা নেই। তখন শ্রীকৃষ্ণ সঙ্কল্প করেন, নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবে শ্রীমতীর চরণে আত্মসমর্পণ করতে। লিখতে লিখতে কেঁপে ওঠে কবির লেখনী। অশ্রু-জলে ঝাপসা হয়ে আসে পুঁথির অক্ষর। কবি লিখছেন, স্মরগরলখণ্ডনং মম শিরসি মণ্ডনং, তার পরের কথাটী ভক্তকবি আর লিখতে পারেন না। আবেগে চীৎকার করে ডাকেন, পদ্মাবতী, পদ্মাবতী!
পদ্মাবতী পুঁথির সামনে এসে বসে।
[একুশ]