গীতগোবিন্দ
বুঢ়ন মিশ্র প্রতিবাদ করেন, কিন্তু একই সময় সব পাতা ঝরে পড়ে না। দিনে দিনে, প্রহরে প্রহরে ঝরে পড়ে। আমার গানে তা নিমেষেই সাধিত হয়েছে।
জয়দেব বলেন, তাহলে উনি গান গেয়ে ঐ ঝরা-পাতা-গাছে আবার নতুন পাতাকে নিয়ে আসুন!
বুঢ়ন মিশ্র বলেন, তা অসম্ভব!
জয়দেব তখন বীণা তুলে নিয়ে বসন্তরাগ ধরলেন। বসন্তরাগের আলাপের সঙ্গে সঙ্গে শুকনো গাছের ডালে আবার নতুন সবুজ পাতার অঙ্কুর জেগে উঠলো।
বুঢ়ন মিশ্রের মাথা হেঁট হয়ে গেল। লক্ষ্মণ সেন সিংহাসন থেকে নেমে এসে কবি জয়দেবের গলায় ঝুলিয়ে দিলেন জয়পত্র। বল্লেন, হে শিল্পী, হে কবি, আজ থেকে লক্ষ্মণ সেনের সভা তোমাকে পেয়ে ধন্য হলো!
অবশ্য এই সব হলো কাহিনী। কিন্তু এই কাহিনী থেকে বোঝা যায়, জয়দেব আর পদ্মাবতী কত বড় শিল্পী ছিলেন। জয়দেব গান গাইতেন আর পদ্মাবতী তাঁর সঙ্গে মৃদঙ্গ বাজাতেন। জয়দেব-পদ্মাবতীর প্রেম সঙ্গীত
[একত্রিশ]