পাতা:চির সন্ন্যাসিনী নাটক.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চির সন্ন্যাসিনী নাটক। ১১৯ ৷ এক জন পরিচারিকার সহিত কুচরিত্র হলেন। বোধ হয় পূর্বে তার সঙ্গে গোপনে আলাপ ছিল। ক্রমে দিন দিন তাহার প্রেমে বদ্ধ হয়ে ঘোর আমোদে মেতে আমাকে মেরে ফেলিবার চেষ্টা করিলেন ! কোন বিশ্বাসী লোকের মুখে শুনে আমি রজনী ষোগে পলায়ন করিলাম। পরে সন্ন্যাসিনীর বেশ ধরে যথা তথা ভ্রমণ করিয়া কাশীধামে গিয়৷ দেখি তোমার পিতা ব্রহ্মচারী। তিনি তোমার জীবন দাতা । তার সঙ্গে পরিচয় হলো, তার মুখে তোমার বৃত্তাস্ত শুনিলাম । তিনি তোমার কথা যতক্ষণ বলিতেন, ততক্ষণ কেবল রোদন করতেন। আমাকে তিনি কন্যার ন্যায় স্নেহ করিতেন, আমিও তাকে পিতার তুল্য ভক্তি করিতাম। কিন্তু যখন জগদীশ্বর দুঃখ দেন তখন কোন রকমেই সুবিধা হয় না। ক্রমে দুঃখের উপর ছুঃখই হয়, হঠাৎ পিতা দুর্জয় পীড়াতে আচ্ছন্ন হয়ে— প্রথ । দিদি ! আমার পিতা কোথা ? অামার জীবন দাতা জীবনে আচেন কি না শীঘ্র বলে ? আমার প্রাণ যে কেমন কর চে, দিদি স্বরায় তার কুশল বলে ? দ্বিতী । ভগিনি ! মনুষ্য দেহ ধারণ করলে অনেক কষ্টই পেতে হয়। আমি এক মনে পিতার সেবা শুশ্ৰুষা | করিলাম, কিচুতে রোগের উপসম ছলনা, পরে ঈশ্বরের নাম করিতে করিতে র্তার প্রাণ পরিত্যাগ হলো । - প্রথ। হা পিতা! তুমি এ দুঃখিনীকে পরিত্যাগ