পাতা:চির সন্ন্যাসিনী নাটক.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'৫৮ চির সন্ন্যাসিনী নাটক কাছে গিয়ে পিতা দ্বারে রহিলেন, আমাকে অন্তঃপুরে যেতে বলিলেন, কিন্তু এ হতভাগিনীকে দ্বাররক্ষকের কোন মতে প্রবেশ করিতে দিল না । আমি কেঁদে কহিলাম আমার দিদি রাজরাণী, আমি তার কাছে যাব। তাহারা আমারে কাতর দেখে আর পিতার অনেক বলতে অন্তঃপুরে খবর দিলে পরে একটা পরিচারিকা এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করিল তোমার নাম কি ? যখন নাম ধায় বলিলাম তখন আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে গেলো। দেখি ভগিনী বসে আচেন, চারি দিকে পরিচারিকাগণ কেউ বিজন কর চে, কেউ অঙ্গ পরিষ্কার কর চে । আমাকে দেখে চিন্তে পারলেন না, আমি যখন সব পরিচয় দিলেম, তখন কহিলেন এখন চিনেচি। আমি ছেলেবেলা পড়ে গেছিলেম এই কপালের দাগ দেখে কছিলেন “ছে তুমি সেই পঙ্কজিনী বটে,কিন্তু আমিতোমাকে রাখিতে পারিব না। যখন সহোদরের রাখেননি তখন আমি রাখিলে তারা আমার উপর রাগত হবেন।” তখন আমি নিৰুপায় হয়ে সেই ব্রহ্মচারীর উদ্দেশে আসিয়ে দেখি দরজায় তিনি নেই। তখন আমার শোক দুঃখে নয়ন দিয়ে ক্রমাগত জল পড়িতে লাগিল। যাহাকে জিজ্ঞাসা করি কেউ কথা কয় না, রাজভোগে সবে উন্মত্ত, কে আমার সঙ্গে কথা কবে ? উৰ্দ্ধশ্বাসে দোঁড়িতে লাগিলাম, দেখি একটা গাছের তলে পিতা বসে বিশ্রাম করচেন। আমাকে দেখে বিস্ময় ভাবে জিজ্ঞাসা করলেন একি, তুমি যে এলে? আমি সব বলে