পাতা:চিহ্ন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঁাচাবার উদ্দেশ্যে ডাকা সেই সভায় কি করে দাঙ্গা বেধেছিল রসুল জানে না, সভার এক কোণে দাঙ্গা বাধার সঙ্গে সঙ্গে কোঁথা থেকে লাল পাগড়ীর আবির্ভাব হয়েছিল তাও পারেনি । লাঠির ঘায়ে কপাল ফাঁকা হয়ে হাজার ফুলকি দেখে ঘুরে পড়বার ঠিক আগে এক লহমার জন্য লাল পাগড়ীর নীচেকার মুখটি সে দেখেছিল, আজও সেই পৈশাচিক আক্ৰোশে বিকৃত মুখের ছাপ তার মনে আঁকা হয়ে আছে। • কেন এ আক্রোশ ? কেন এ বীভৎস হিংসা ? জগতের কোন অন্যায়, কোন আনিয়মের সঙ্গে খাপ খায় না, এ যেন অন্যায়ের, অনিয়মেরও ব্যাভিচার ! মাথা ফুটাবার হুকুম | পেয়েছিল, মাথা ফাটােক । ক্ষমতার দম্ভে প্রচণ্ড উল্লাস জাগুক । মাথা ফাটাতে, তার মাথা তুলিবার স্পৰ্দ্ধায় রাগে ফেটে যাক কলিজা, সব সে মেনে নিতে রাজী আছে মানানসই বলে। কিন্তু সে-ই যেন যুগ যুগ ধরে অকথ্য অত্যাচারে জর্জরিত করেছে, অসহ্য যন্ত্রণা দিয়ে দিয়ে উন্মাদ করে দিয়েছে, এমন অন্ধ উৎকট পৃতিহিংসার বিকার কেন ? রসুল জানে না । মনের পর্দায় পুশুটা তার স্থায়ীভাবে লেখা হয়ে আছে ক্ষোভের হরফে । প্ৰথম দিকে কোলাহল প্ৰচণ্ড হয়ে উঠেছিল সমবেত মানুষগুলির বিক্ষুব্ধ গর্জনে, এখন শান্ত হয়ে কলরবে দাঁড়িয়েছে। ছাত্রদের শৃংখলা ও শাস্ত সংযত চালচলনের প্রভাব জনতার छि : : OS