বসিয়া আরাম ও গল্প-গুজব করা দেখে, আমার নিজেদের দেশের কথা, মনে হতে লাগল। এরূপ বিশ্রামে কত আনন্দ, কত শান্তি আমাদের ঘরে তাহা নাই।
বাড়ীর কর্ত্রার সঙ্গে “পিক্তন ইংলিসে” তাহাদের রীতি-নীতি সদসে কথাবার্ত। কহিরা অল্পক্ষণে কত বিষয় শিখলাম। প্রথমেই তাঁহাদের দেশে ফি-প্রধার কথা জিজ্ঞাসা করিলাম সে দেশে সকলেই বিব: করে, এমন লোক নাই যে, বিবাহ করে না। পিতৃ-পুরুষ উদ্ধার ক নিজেদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য পুত্র সন্তান একান্ত প্রার্থনীয়। শরদের সমাধিস্ত না হইলে তাহার আত্মা অস্থির হইঙ্গা যন্ত্রণায় চারিদিক ঘুরি বেড়ায়। কি আশ্চর্য! আযাদের টা এইরূপ বিশ্বাস ও এইরূপ প্রথা। প্রাচীনদেশ যতই পরস্পরে কত হিলে পুরুষের ১৬ হইলেই বিবাহ হইয়া যাম কি? স্ত্রীলোকের অতি শৈশবেই বিবাহ হতে পারে। সচরাচর “কন্তু বয়স্থ হইলে, ১৮০২০ রত্নর বিবাহ হয়। বিবাহ বরের তরফ হই কন্যার পিতাকে শণস্বরূপ কিছু অর্থ দিতে হয়। অধিক, পণও তত বেশ: সেই কারণে অনেকে অল্প পণ দিয়া বৎসরের বালিকা ও বিবাহ করে। চীনের বিবাহ-প্রামটি চমংকার পাত্র ও পাত্রীতে পূর্বে দেখা হইবার নিম্ন, নাই। গণকের পরামর্শ অনুসারে শুভদিনে, শুভক্ষণে বিবাহের দিন ঠিক হয়। পরস্পরের কোচি মিলাইবার পর তবে বিবাহ ঠিক হয়। কিন্তু বিবাহ ঠিক হইবার পর যদি গৃহে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে বা কোনও জিনিষ চুরি যার বা ভাঙ্গিয়া যায়, তবে ফল শুভজনক হইবে না, এই আশঙ্কায় বিবাহ ও ভাঙ্গিয়া যার যাইতে হয় না, লোক মন ও বিবাহের দিন বরকে পাত্রীর বাড়ী যান-বাহন পাঠাইয়া পাত্রীকে শত্রের বাড়ীতে আনা হয়। বরের পিতা মাতারই কথামত বিবাহ হইয়া থাকে, পাত্রের তাহাতে পছন্দ I