পাতা:চীন ভ্রমণ - ইন্দুমাধব মল্লিক.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
সিঙ্গাপুর।
৬৩

আকৃতিবিশিষ্ট শতদল ফুল রাশি রাশি ফুটিয়া থাকে। কোন কোনটীর ব্যাস দেড় বা দুই ফুট হইবে। ঐ পদ্মের পাতাগুলিও অতি প্রকাণ্ড। দেখিলে মনে হয়, এরূপ পদ্মের উপর বীণা বাজাইয়া নাচা কিছু অসম্ভব নহে। আর সেখানকার সোজা লম্বা নারিকেল গাছের ঘন কুঞ্জবন,—ঠিক বেতসকুঞ্জের মত। বট ও অশ্বত্থ গাছ অপেক্ষাও প্রকাণ্ড ছায়া-তরুর তলায় বেলা দ্বিপ্রহরে বসিলে আর উঠিয়া আসিতে ইচ্ছা হয় না। চারিদিক নিস্তব্ধ। দূরাগত পাখীর গান ঠিক যেন দূরাগত বংশীধ্বনির মত শ্রুতিসুখকর। মাথার উপরে,গাছের ঘন পাতায় লুকাইয়া একটি পাখী করুণস্বরে ডাক’ছিল। আর যেন আমারই জীবনের অতীতইতিহাস সুস্পষ্ট ভাষায় ব’লছিল।

 সেখান হ’তে ফিরতে আমার প্রায় সন্ধ্যা হ’ল। আসিবার পথে সহর হইতে অনেক দূরে মালয়পল্লী দেখিলাম। ছোট ছোট পাহাড়সমাকুল একটী স্থানে ঐ পল্লী অবস্থিত। কাঠের বাড়ীর ঢালু চালাগুলি বহুদূর অবধি ক্রমান্বয়ে চলিয়াছে।

 সেই সকল গাছ-পালা সমাচ্ছন্ন পাহাড়েরই পাদমূল ধৌত করিয়া