পাতা:চীন ভ্রমণ - ইন্দুমাধব মল্লিক.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৮
চীন ভ্রমণ।

আপনার ছেলেকে কোলে লইয়া অশ্রুপাত করিতে লাগিলেন। তিনি সে চীনেম্যানের কোনও সম্পৰ্কীয় লোক নহেন।

 প্রথম শ্রেণীর যাত্রীর মধ্যে একটি ইউরোপীয়, তাহার ভীমাকৃতি স্ত্রী ও দুইটি শিশু ছিল। মেম সাহেব অহরহ তাঁহার চীনে আয়ার সহিত কলহ করিতেন। এত চেঁচাইতেন যে, লোক জমিত। তাঁহার স্বামী Shakespearএর “Taming of the Shrew” (কুঁদুলী-দমন) নামক নাটকের “পিট্রসিওর” মত দেখিতে খুব ঢেঙা ও মনের দৃঢ়তাব্যঞ্জক ঘন কাল মস্ত গোঁফওয়ালা! তিনি স্ত্রী অপেক্ষা আরও চেঁচাইয়া স্ত্রীকে খুব জব্দ রাখিতে পারিতেন। এক দিন স্ত্রী বসিয়া একটি সিল্কের বডি শেলাই কৱিতে করিতে আয়ার উপর খুব রাগিয়া উঠিলেন। তাঁহার স্বামী আয়ার উপর যেন আরও রাগিয়া, চেঁচাইয়া-আয়াকে বকিতে বকিতে-টেবিল চাপড়াইয়া -কাচের গ্লাস ভাঙ্গিয়া -তাঁহার স্ত্রী যে রেশমের জামাটি শেলাই করিতেছিলেন, সেইটি লইয়া ছিাড়িয়া ফেলিলেন। স্ত্রী তৎক্ষণাৎ চুপ! আপনিই সেই জামাটি মেজে হইতে উঠাইয়া লইয়া নির্ব্বাক হইয়া রহিলেন। এটি স্ত্রীকে জব্দ করিবার জন্য কেবলমাএ রাগের অভিনয় বলিয়াই মনে হইল। নয়ত আয়ার উপর রাগ করিয়া স্ত্রীর জিনিষ লোকসান করবেন কেন!

 দ্বিতীয় শ্রেণীতে একটি জাপানী ভদ্রলোক, তাঁহার স্ত্রী ও শ্যালিকাকে লইয়া এময়ে যাইতেছিলেন। ইঁহার বৃহৎ গালার কারবার আছে। তিন জনই এক ঘরে থাকিতেন। তিন জনে সর্ব্বদাই আমোদ-প্রমোদ লইয়া ব্যস্ত। জাপানী রমণীরা সর্ব্বদাই চেঁচাইয়া কথা কইিতেন ও উচ্চ রবে হাসিতেন। কে কত ভারী,তাই দেখিবার জন্য পরস্পরকে কোলে করিয়া তুলিতেন। পুরুষটিও স্ত্রীলোকদিগকে ও স্ত্রীলোেকরাও পুরুষটিকে সকলের সম্মুখে কোলে করিয়া তুলিতেন! আর আর লোক অবাক হইয়া তাঁহাদেৱ অদ্ভুত