পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুড়াল উপাখ্যান। י מ শান্ত পদে অবস্থিত হইলেন। আত্মবিবেকের সর্বদা দৃঢ় অভ্যাসক্রমে পরমাত্মার পূর্ণ জ্ঞান উদয় হওয়াতে সেই রাজী নব প্রস্ফুটিত মনোহর সুকোমল নীলপদ্মের ন্যায় অতিশয় সুন্দরশোভান্বিত ও দেবকন্যার সদৃশ অশেষ কান্তিবিশিষ্ট হইলেন। রাজা শিখধ্বজ নিজ অনিন্দিতা গুণবতী ভাৰ্য্যার তাদৃশ সৌন্দর্য শোভা দর্শন করিয়া প্রীতি প্রফুল্ল অন্তঃকরণে এক দিবস প্রিয়তমাকে ক্ৰোড়ে বসাইয়া সহাস্যবদনে জিজ্ঞাসা করিলেন, “প্রেয়সি! অমৃত পান করিলে কিম্বা ব্ৰহ্মপদ প্রাপ্ত হইলে যে প্রকার নিৰ্ম্মল সুকোমল অনির্বচনীয় সুন্দর ঐ প্রাপ্ত হয়, তোমাকে সেইরূপ আনন্দপূর্ণ সমান স্বভাব বিষয় ভোগে কৃপণতাশূন্য শান্ত গম্ভীর সুপ্রসন্নচিত্ত দেখিতেছি, ইহার কারণ কি ? হে সুন্দরি ! তোমাকে প্রকৃত স্বৰ্গকামিনীর ন্যায় অশেষকান্তি সৌন্দর্য্যবিশিষ্ট অনুপম রূপবতী নবযৌবনযুক্ত যুবতীর ন্যায় অতিশয় শ্ৰীমতী দেখিতেছি, তোমার এ প্রকার অসামান্য রূপলাবণ্যযুক্ত নবযৌবন কি প্রকারে পুনরাগত হইল, তাহ আমার প্রীত্যর্থে যথার্থ বল। রাজমহিষী প্রাণপতির এই প্রকার বাক্য শ্রবণে ঈষৎ হাস্যবদনে মধুর স্বরেতে প্রত্যুত্তর করিলেন, প্রাণনাথ! তোমার আজ্ঞা আমি অবশ্ব পালন করিব, অতএব আত্মবিবরণ প্রকাশ করিয়া বলিতেছি, শ্রবণ কর, “এই যৎকিঞ্চিৎ বাহ্য বস্তু সকল যাহা দেখা যাইতেছে, এ সকল