পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8. চুড়াল উপাখ্যান। নিযুক্ত হইয়া পূর্ববৎ নির্জনে নিরন্তর পরমাত্মার ধ্যানও যোগাভ্যাসে প্রবৃত্ত হইলেন। সময়ান্তরে নিজ নাথের তত্ত্বজ্ঞানামৃতপ্রাপ্তির নিমিত্ত বহু প্রবোধ বাক্যের দ্বারা বিশেষ যত্ন করেন, কিন্তু বালকে যেমত বিদ্যার গুণ জানে না, সেইরূপ তানেক প্রকার প্রবোধ বাক্য শুনিলেও রাজা তাহার তাৎপৰ্য্যাৰ্থ মৰ্ম্ম কিছুই গ্রহণ করিলেন না, এবং বহুকালেও তাদৃশ নিজ গুণবতী ভাৰ্য্যার অশেষ গুণ কোন প্রকারে জানিতে পারিলেন না । অনন্তর এইরূপে বহুবর্ষ গত হইলে সেই রাজার তত্ত্বজ্ঞান প্রাপ্তি না হওয়াতে মোহ দুঃখরূপ অগ্নিতে দগ্ধচিত্ত হইয়া সেই উপস্থিত ঐশ্বৰ্য্য রাজ্যেতে কিছুও স্থখানুভব হইল না। রাজা স্বচিত্তের স্বাস্থ্যলাভার্থে অনেক ধনাদি দান তীর্থ পর্যটন তপস্ত চান্দ্রায়ণ ব্রত নিয়মাদি বহুবিধ /পুণ্য কার্য্যের অনুষ্ঠান করিলেও মনেতে ভাবনার দ্বার অতি দীন ভাবে সেই ঐশ্বৰ্য্য রাজ্যাদি বিষের তুল্য দর্শন করাতে অন্তঃকরণের কিঞ্চিৎ দুঃখও পরিত্যাগ পাইল না । কিয়দিবস এইরূপে গত হইলে এক দিবস ভূপতি শিখিধ্বজ নির্জনে নিজ ক্রেড়োপবিষ্ট প্রিয়তম ভাৰ্য্যাকে মধুর স্বরে কহিলেন, প্রেয়সি ! সকল সৌভাগ্যযুক্ত । আমি চিরকাল নিৰ্ব্বিত্বে অশেষ প্রকারে রাজ্যস্থখ সম্ভোগ করিলাম। পৃথিবীর যাবদীয় ঐশ্বৰ্য্যসম্পত্তি সমুদায় দৃষ্ট হইল। এক্ষণে আর আমার এ সকল কোন কিছুতেই মুখা