পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>。 চুড়াল উপাখ্যান। বিরহে একাকিনী কিরূপে জীবনধারণ করিতে সমর্থ হইব, অতএব বিলম্বে প্রয়োজন নাই আমিও এক্ষণেই অদ্য প্রাণকান্তের পশ্চাৎ গমন করি । শুভবুদ্ধিমতী রাজমহিষী চুড়াল মনোমধ্যে এইরূপ পতির অনুগমন স্থির করিয়া অদৃশ্ব্যরূপে সকলের নয়নপথের বহির্ভূত হইয়া স্বগৃহ হইতে বহির্গমনপূর্বক কিয়দূত্র গমন করিলে সেই ঘোর অন্ধকার রজনীতে পথের মধ্যে এক স্থানে রাজার দর্শন পাইয়া অতিশয় আহলাদিত অন্তঃকরণে বিবেচনা করিলেন, যে আমি বিবিধ প্রবোধ বাক্যের দ্বারা নৃপতিকে বুঝাইয়া গৃহে প্রত্যাগমন করিতে অনুরোধ করিলে বোধ করি স্বামীর বাক্যে সন্মত হইয়া বাটীতে ফিরিয়া আসিতে পারেন, পুনরায় ভাবিলেন যে, তাহাই বা কিরূপে হইবে rযহেতু পূর্বে যখন ইনি আমার নিকটে আপনার বনাশ্রয়গ্রিহণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন, আমি তৎকালে বারম্বার স্বীয় অনিচ্ছা প্রকাশ করিয়া ইহাকে নিষেধ করিয়া ছিলাম, কিন্তু ইনি তাহ ন শুনিয়া, “যাহা আমার ইচ্ছা হইয়াছে তাহাতে কোন মতে বাধা জন্মাইও না” পুনঃ পুনঃ এই প্রকার কছিয়া আমাকে নিরস্ত করিয়াছেন। এক্ষণে যদি আমি স্বামীর সেই অভিপ্রায়ের অন্যথাচরণে প্রবৃত্ত হইয়। ই হার গমনে বাধা প্রদাৰ করি, কিম্বা ইহার পশ্চাৎ সঙ্গে সঙ্গে গমন করি, তবে নৃপতির তাহাতে ক্ৰোধ উপস্থিত হইতে পারে। তাহ হইলে আমার মঙ্গল সম্ভাবনা কি ?